• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৫৯ পিএম

বিরোধীদল দমন ছাড়া একটা মশাও মারতে পারে না সরকার : মান্না

বিরোধীদল দমন ছাড়া একটা মশাও মারতে পারে না সরকার : মান্না
নাগরিক ঐক্যের ওয়েব সাইটের নতুন ভার্সনের প্রদর্শনী ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হওয়া কঠিন। সরকার এখন রোহিঙ্গাদের দমনের চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা এনআইডি পেয়ে যাচ্ছে। তাদের মোবাইল সিম বন্ধ করবে কিভাবে? এই সরকার কোনো একটা কাজও ঠিকভাবে করতে পারছে না। তাদের তো কোনো ক্ষমতাই নেই। এনআইডি থাকলে তাদের পাসপোর্ট পেতে অসুবিধা কি? 

তিনি বলেন, এই সরকার বিরোধীদলকে নির্যাতন, অত্যাচার, গ্রেপ্তার করা ছাড়া একটা মশাও মারতে পারে না। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ওয়েব সাইটের নতুন ভার্সনের প্রদর্শনী ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সরকার কিছুই করেনি। জাতিসংঘসহ এটাকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাধান করা উচিত হলেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টিকে সমাধানের অযোগ্য করে ফেলেছে। সরকার অনেক দেশকে বন্ধু দাবি করলেও কোন দেশ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ায়নি বরং তারা মিয়ানমারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এখন রোহিঙ্গাদের উপরে নানারকম নিপীড়ন চালাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, এরা বলে, (সরকার) প্রতিবেশি দেশ আছে যারা এসব বিষয়ে নেগোসিয়েট করবে। তারা নিষ্পত্তি করবে, স্বার্থ দেখবে আমাদের। যারা এদেরও বন্ধু, ওদেরও; তারা কার বন্ধু শেষ পর্যন্ত। 

প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনি হয়ত উভয় দেশকে খুশি রাখার জন্য ‘থাপথুপ’ দিয়ে বন্ধ করে রেখে দেবেন, যাতে কোনো কিছুই না হয়।  
 
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ১০/১১ লাখ এসেছে। ওদিক থেকেও আসছে। আসাম থেকে অহমিয়ারাও আসবে। তারা আসলে কিভাবে ঠেকাবেন আপনারা? তখন কি সরকার বলবে, ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে এই ১৭ লাখ মানুষকে কি খাওয়াতে পারবো না। এই সব বড় বড় কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাভ নেই। বাংলাদেশ এখন সমূহ বিপদে। এটাই হল শেষ কথা।

মান্না বলেন, বাংলাদেশে এখন বালিশের দাম বেশি না পর্দার দাম বেশি? লাখ টাকা দিয়ে এখন পর্দা বানায়, একথা আমরা কখনও শুনিনি। রূপপুর প্রকাশিত হয়েছে, তখন ভেতরে ভেতরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজতো ছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা তো নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে, ওরা আমার আপনার ভোটের অধিকারই কেড়ে নিয়েছে। পৃথিবীতে কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে নির্বাচনের পরে পুলিশকে ডিনার খাওয়ানো হয়েছে, লাঞ্চ খাওয়ানো হয়েছে। তারপরও তারা বলে, এত সুষ্ঠু নির্বাচন, একটা মানুষওতো প্রতিবাদ করে না। অথচ সারা দুনিয়ার মানুষ জানে নির্বাচনের নামে কি হয়েছে? এই লজ্জা আমরা রাখতে পারি না। কিন্তু ওদের লজ্জাতো দূরের কথা। ওই যে বলে, এক কান কাটা গেলে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাটে। আর দুই কান কাটা গেলে রাস্তার মধ্যে দিয়ে হাটে। সরকারের হয়েছে এখন সেই অবস্থা। আমরা যাই বলি, তাদের কানে বাতাস যাচ্ছে না। তাদের কোনো লজ্জা নেই।
 
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা এসএম আকরাম, সমন্বয়ক শহিদুল্লাহ কায়সার, দলের নেতা মমিনুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, মঞ্জুর কাদের, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

টিএস/বিএস