• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৪:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশিরা ভারতে যায়নি : বিএনপি 

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশিরা ভারতে যায়নি : বিএনপি 
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : জাগরণ

স্বাধীনতার পরে কোনো বাংলাদেশি কখনো ভারতে যায়নি বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে বলেন, আসামে তাদের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা হুমকি দিচ্ছেন, ভারতে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের তারা আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, স্বাধীনতার পরে কোনো বাংলাদেশি কখনো ভারতে যায়নি। সুতরাং আজকে বাংলাদেশকে আবার বিপদগ্রস্ত ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ দাবি করেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি’ উপলক্ষে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, জনগণকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন- নিজেদের অধিকার, ভোটের অধিকার ও কথা বলার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস ও গায়ের ব্যথা বেড়ে গেছে। তিনি সাহায্য ছাড়া হাঁটতে ও চলতে পারেন না। কিন্তু এই সরকার ও হাসপাতালের ডাক্তাররা বলছেন, তিনি সুস্থ্ আছেন। কিন্তু তিনি একেবারেই সুস্থ নন। একেবারেই অসুস্থ অবস্থায় সেখানে কারারুদ্ধ  দিন পার করছেন তিনি। অবিলম্বে নেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা ও সাহস নেই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। তাই দুই বছরে একটা রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি!

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খলেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সারাদেশে কর্মসূচি দিতে হবে। এজন্য আমাদের কর্মসূচি দিতে হবে। কারণ একমাত্র রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারি।

সরকারকে উদ্দেশ করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানে মানে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন? না কি আমাদের রাজপথে নামতে হবে। আমরা যদি মনে করি, সরকার বেগম জিয়ার মুক্তিতে একমাত্র বাধা, তাহলে সরকারের পতনই আগে ঘটাবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আদালতকে প্রভাবিত করে বেগম জিয়ার মুক্তির বিলম্বিত করা হচ্ছে। এজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে এবং নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।

মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী সমবেত হয়। মানববন্ধনকে ঘিরে প্রেসক্লাবের সামনে এবং এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকট আহমদ আযম খান, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী- খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন