ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের হয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে জয় ও লেখককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয় ও লেখকের সতীর্থরা বলেছেন, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম খানের ছেলে আল নাহিয়ান খান জয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার হাত ধরে জয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। বরিশাল জেলা স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসএসসি পাস করে ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন জয়। তার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে এই কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন জয়। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরপরই তার ডাক আসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করে নেন জয়। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জয়ের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার বাবা আব্দুল আলীম খানের হাতে উপজেলা ছাত্রলীগের পথচলা। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন।

জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আমার উপর যে দায়িত্ব এসেছে তা আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে পালন করার চেষ্টা করব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুযায়ী কাজ করে যাব। আপনারা আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন। 

এইচ এম/ এফসি