• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ১১:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ১১:১৪ এএম

এবার রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ জবির ছাত্রলীগ নেতার

এবার রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ জবির ছাত্রলীগ নেতার
গোলাম রাব্বানী ও জয়নুল আবেদিন রাসেল (ডানে)

নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের জিএম পদ হারানোর পর নতুন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠায় আবারো সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাব্বানী। তার বিরুদ্ধে এবার চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।

বিশ্বদ্যিালয়ে সংঘর্ষের জের ধরে কমিটি বিলুপ্তির প্রায় ৭ মাস পর শেখ রাসেল রাব্বানীর বিরুদ্ধে অর্থ দাবির এই অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, পুরনো কমিটি বহাল করবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে মাসে কত টাকা দেয়া হবে সাবেক কমিটির কতিপয় নেতাদের কাছে এমন অঙ্গীকারনামা চেয়েছেন রাব্বানী।

এদিকে শেখ রাসেলের তোলা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাব্বানী। তিনি বলেন, অদৃশ্য সিন্ডিকেটের পরামর্শে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এই অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সম্পাদক শেখ রাসেলের সমর্থকদের সংঘর্ষের পর ওই দিনই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ১৯ ফেব্রুয়ারি বিলুপ্ত করা হয় এ কমিটি।

এ বিষয়ে গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শেখ রাসেল এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ওই কমিটি টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ চেয়েছিলেন রাব্বানী।

শেখ রাসেল জানান, সংঘর্ষের পর সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তিনি কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে রাব্বানীকে অনুরোধ করেছিলেন। তখন রাব্বানী বলছিলেন, এর আগে সোহাগ ভাই-নাজমুল ভাই ছিল, তাদের বিভিন্নভাবে সুবিধা দিত শরীফ-সিরাজ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদক)। তোরা তো আমাকে কিছু দিস না। তোরা মাসে কত দিতে পারবি বল, তাহলে দেখি কমিটি ঠিক করা যায় কীভাবে। ওই শর্তে রাজি হননি বলে দাবি করেন রাসেল।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটির নেতারা নাখোশ ছিলেন বলে দাবি করছেন রাসেল। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প আছে, তারা যখন দেখছে আমরা তাদের মতো চলছি না, তখন তারা বুঝছে আমরা থাকলে প্রকল্প থেকে ওরা কিছু পাবে না। এই দুই কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আমরা এসব বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে বিভিন্ন প্রমাণ জমা দিয়েছি। এ সময় গত ২২ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর দেড় মাসেও কমিটি ঘোষণা না করার সমালোচনা করেন রাসেল।

রাসেলের অভিযোগের বিষয়ে রাব্বানী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারিতে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। এই ঘটনায় ৩ সাংবাদিকও আহত হয়েছিল। এছাড়া জগন্নাথ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নানা অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার খবর পেয়ে প্রথমে আমরা কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করি। পুনরায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্যার, ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই, আব্দুর রহমান ভাই, বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই ও বিএম মোজাম্মেল ভাইয়ের পরামর্শে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করি।

রাব্বানী আরও বলেন, এখানে জগন্নাথের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কমিটি বাঁচানোর বিষয়ে কথা বলার প্রশ্নই উঠে না। অনেক তদবির করে কমিটি টিকিয়ে না রাখতে পেরে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা তো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নিয়ে সব সময়ই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছে। এখন ছাত্রলীগের অদৃশ্য সিন্ডিকেটের পরামর্শে নতুন অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। যার কোনও ভিত্তি নেই। 

এইচ এম/একেএস

আরও পড়ুন