অবৈধভাবে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- যারা অবৈধভাবে ভর্তি হয়েছেন তাদের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর পদ বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে খালি পদগুলোতে দ্রুত উপ-নির্বাচন দেয়া। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ করা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে স্মারকলিপি দিতে যান। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে চার দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গেলে সেখানে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের মারধর শুরু করলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন।
তারা জানান, হামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বাম সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আসিফ মাহমুদ নামে একজন গুরুতর আহত বলে তারা জানিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা প্রক্টর অফিসে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
মুহসিন হলে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস হওয়া মেহেদী হাসান মিজানের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা সবাই ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান মিজান বলেন, আমি সেখানে হলের প্রভোস্টের সঙ্গে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলাম। এছাড়া কয়েকদিন আগে আমার হাত ভেঙে গেছে। সেখানে আমার নেতৃত্বে হামলার কোন প্রশ্নই আসে না।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মারার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। আমরা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আসিফ মাহমুদসহ অনেকেই আহত হয়েছে।
এমআইআর/এসএমএম