• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৪:৩৯ পিএম

মসজিদের শহর ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করা হয়েছে : মঈন খান

মসজিদের শহর ঢাকাকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করা হয়েছে : মঈন খান
ড্যাব আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ড. মঈন খানসহ অন্যান্যরা-ছবি : জাগরণ

মসজিদের শহর ঢাকাকে ক্যাসিনো ও জুয়ারিদের শহরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. শাকিল, সহ-সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম সিরাজ, দফতর সম্পাদক ফখরুজ্জামান ফখরুল, মাসুদ রানা, রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মারুফ হাসান, শহিদুল ইসলাম, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. বদর উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. একেএম ফরিদ উদ্দিন, ডা. মেহেদী হাসানসহ আরও অনেকে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. ফারুক, ডা. নাসিম, মাহবুব শামীম, ডা. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ডা. আবু নাসের, ডা. মেহবুব উল কাদির, আদনান মাসুদ, ডা. জাফর ইকবাল, পারভেজ রেজা কাকন, আশরাফুল ইসলাম মানিক, খালেকুজ্জামান দীপু, ডা. তানিয়া ইসলামসহ শতাধিক চিকিৎসক।

মঈন খান বলেন, ‘শুনেছিলাম, এরা বাংলাদেশকে নাকি সিঙ্গাপুর বানাবে। আমি এই সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, তারা শুধু সিঙ্গাপুর নয়-ঢাকাকে সিঙ্গাপুর থেকে এক ধাপ উপরে আমেরিকার লাসভেগাসে পরিণত করেছে। যে লাসভেগাস হচ্ছে জুয়াড়িদের শহর।

তিনি বলেন, তৎকালীন ঢাকার পরিচয় ছিল মসজিদের শহর হিসেবে। সেই মসজিদের শহর আজকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে।

ড. মঈন বলেন, ক্ষমতার দম্ভ দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। অতীতে পাকিস্তানিরাও পারে নি। গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুদীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের লড়াই করছেন। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে  তাকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। কারণ তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন। এজন্যই তাকে কারাবন্দী করা হয়েছে।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় পরিণত করেছে। আসুন আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করি।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের দুই কান নষ্ট। কথা বললে তারা শোনে না। তারা কয়লা, ময়লা, পাথর, ব্যাংক, বিমা সবই খায়। কিছু ভালো কাজের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি। কিন্তু যখন দেখি তাদের সামনে দিয়ে চোর ডাকাত ছিনতাইকারি চলে যায়। তখন ব্যাথা পাই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের অনিয়ম দূর বা বন্ধ করা যাবে না।

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, বেগম জিয়া ছাড়া দেশের মানুষ অনিরাপদ। খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর দেশের গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধকেও কারাগারে নেয়া হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে মধ্যরাতের সার্কাস করা হচ্ছে। অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডাম্পিং ল্যান্ড বানানো হয়েছে। আবার আসামের নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। দেশের সর্বত্র আজ লুটপাট চলছে অবাধে। চাঁদা দাবি করেছেন ৮৬ কোটি টাকা। দেশের পুরনো ছাত্র সংগঠন। দেশের ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে ছাত্রলীগ। 

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক আপসহীন দেশনেত্রীকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। তাই চিকিৎসক সমাজকে আজ রাজপথে নামতে হয়েছে।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন