সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে জড়িত এটা গত কয়েকদিনের অভিযানে প্রমাণ হয়ে গেছে দাবি করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেন, আর গলাবাজি না করে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিয়ে জনগণকে মুক্তি দিন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন একটাই আলোচনা- ক্যাসিনো, ক্যাসিনো। এই ক্যাসিনো অর্থ জুয়া। এটা আওয়ামী লীগের সরকারের সময় প্রচণ্ড রকম বেড়ে গেছে। যুবলীগের সভাপতি এ বিষয়ে সবার চেয়ে বেশি কথা বলছেন। তিনি এটা স্বীকারও করেছেন। আমরা এ বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সব জায়গায় শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর টিভি টকশোতে দেয়া বক্তব্য সংসদীয় ভাষায় ছিল দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুদু সাহেব কাউকে হুমকি-ধামকি দেন নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। তারপরও তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে, এতে আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার বোন সেলিমা ইসলাম শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেখা করে এসে বলেছেন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।

সুষ্ঠুভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্ন হওয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ধন্যবাদ জানান ফখরুল।

এর আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/এসএমএম