• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম

ফাহাদ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই : মা

ফাহাদ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই : মা
ফাহাদের মা

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার ঘটনায় তার কুষ্টিয়ার তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মায়ের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে। তবে ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখলী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। পিটিআই সড়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছেন। তার মা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। 

পরিবার জানায়, ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। তাদের সন্তানকে কেন এভাবে জীবন দিতে হলো, বুঝে উঠতে পারছেন না। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হলের এক বড় ভাইয়ের মোবাইল কলে ফাহাদের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। ফাহাদের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকে। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল। কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, ১০ দিন আগে ছুটিতে দুই ভাই বাড়িতে এসেছিলেন। ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন আবরার। তবে সামনে পরীক্ষা, পড়া হচ্ছে না বলে রোববার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। 

ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘রোববার সকালে আমি তাকে নিজে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। সে ঢাকায় রওনা দেয়। মাঝে তিন থেকে চারবার ছেলের সঙ্গে কথা হলো আমার। বিকাল ৫টায় হলে পৌঁছে ছেলে আমাকে ফোন দেয়। এরপর আর কথা হয়নি। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছিলাম, ফোন ধরেনি।’ ছেলের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি। 

চাচা মিজানুর রহমান বলেন, সে শিবিরের কর্মী, এমন কথা রটাচ্ছে সবাই। এটা বানোয়াট, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের বিভিন্ন মিটিংয়েও আমরা যাই। আবরার এমনিতে ধর্ম ভিরু, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। 

এদিকে, ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখলী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের প্রতিবেশিরা জানান, ফাহাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী সবাই শিক্ষিত পরিবার। ফাহাদ লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো ছিল। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পড়ার সূত্রে বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া শহরের বসবাস শুরু করে। মাঝে মধ্যে ফাহাদও গ্রামের বাড়িতে এসেছে। জানামতে, ছেলেটি খুব ভালো এবং ওকে কোনদিন কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত হতে দেখা যায়নি। 

কেএসটি

আরও পড়ুন