• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৫:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৫:২০ পিএম

‘আ. লীগে যারা অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’

‘আ. লীগে যারা অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক -ছবি : জাগরণ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, দলের ভেতরে গ্রুপ করার জন্য, দল ভারী করার জন্য ফ্রীডম পার্টি-বিএনপি-জামায়াতকে যারা দলে ঢুকিয়েছেন, তাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সবস্থান থেকে খুঁজে বের করতে হবে। যারা দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমির হলে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পর পর তিন তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দলে কিছু বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে। যারা এই বিষধর সাপকে দলে ঢুকিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ কোন সনাতনদল নয়, আওয়ামী লীগ একটি ত্যাগের নাম, অনুভুতির নাম। যারা দলের বহিরাগত, কোনও দিন দল করে নি, অথচ দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছেন তারা নিজেরাই কেটে পড়েন না। তাদের খুঁজে বের করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২১ ও ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। তার আগে আমরা জেলা-উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে চাই। আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলা সম্মেলন করবেন ভালো কথা। তবে সেখানে আমরা নিজের লোক খুঁজি, পারলে বাড়ির কাজের লোককেও কমিটিতে রাখতে চাই, তাদের নাম দিতে চাই, এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, জেলা-উপজেলায় সভাপতি, সম্পাদক নিজেরা কথা বলেন না। গ্রুপিং করেন কেন এত? বিভাজন-বিভেদ কেন? মনে রাখতে হবে এদিন দিন নয়, আরও দিন আছে। দল করবেন, গ্রুপিং করবেন, সেটা আর বরদাশত করা হবে না।

নানক আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের মতামত শুনবো, তাদের দুঃখ-বেদনার কথা শুনবো।

তিনি সবাইকে দলের আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে মতামত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের মধ্যে, নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয়।

বর্ধিতসভায় দিনাজপুর জেলা, পৌরসভা, উপজেলা সভাপতি-সম্পাদক, জেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, দলের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফিজারসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। 

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন