• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম

আবরার হত্যার প্রতিবাদে মৎস্যজীবী দলের বিক্ষোভ মিছিল

আবরার হত্যার প্রতিবাদে মৎস্যজীবী দলের বিক্ষোভ মিছিল
রাজধানীতে মৎসজীবী দলের বিক্ষোভ মিছিল- ছবি: জাগরণ

ভারতের সঙ্গে অবৈধ চুক্তি ও বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্ব মিছিলে অংশ নেন মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, লোকমান হোসেন হাওলাদার, শাহ আলম,জহিরুল ইসলাম বাশার, এম এ হান্নান, কবির উদ্দিন মাষ্টার, সাইদুল ইসলাম টুলু, সদস্য শহিদুল ইসলাম পামেল, জাহিদুল আলম মিলন, হিমু, তানভীর আহমেদ, আহমেদ সোহেল মামুন এবং মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ।

মিছিল শেষে মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় মিছিল শেষে পথসভায় রিজভী আহমেদ বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়। আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তা চেতনায় যে পচন ধরেছে-আবরার হত্যা তারই নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। অবৈধ চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসই ছিল আবরার ফাহাদের অপরাধ। আবরার বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে, বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে কথা বলায় এ দেশীয় তাবেদাররা তাকে সহ্য করতে পারেনি। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রায়ই তার নিজের স্বজন হারানোর কথা বলে কাঁদেন। স্বজন হারানোর সুবিধাভোগী হিসেবে তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আপনজনকে হারিয়ে আপনি যেমন ব্যথাতুর হন, অন্যদিকে আপনার শোষণ-পীড়নে বাংলাদেশের হাজার হাজার পরিবার আজ সর্বশান্ত, স্বজনহীন-গৃহহীন। তারা নীরবে-নিভৃতে কাঁদেন, কিন্তু তাদের কান্না তো টেলিভিশনে দেখানো হয় না।

রিজভী আরও বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অব্যাহত দাবি সত্বেও শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ জনপ্রিয় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। সরকার দেশনেত্রীকে কোনভাবেই মুক্তি না দিয়ে কারাগারে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নে জোরালো তৎপরতা চালাচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্য জনসমাবেশে বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করছেন খালেদা জিয়াকে আমৃত্যু কারাগারে বন্দি রাখা হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে।’ তার কথায় প্রমাণ হয়, দেশে আইন আদালত, বিচার-আচার কিছুই নেই। ক্ষমতাসীন দলের ফ্যাসিষ্টরা প্রকাশ্য রাজপথেই রায় ঘোষণা করছেন। তাদের কত বড় স্পর্দা হলে এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী, সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তী খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে হত্যার হুমকি দিতে পারে !

তিনি বলেন, সুচিকিৎসা না দিয়ে বন্দি রেখে একজন মহিয়সী নারীর ওপর ইতিহাসের বর্বরতম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। অন্যথায় তার সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। জনগণ অন্যায়কারীদের হিসাব রাখছেন। তারা সব কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নিবে। জনগণের ধৈর্য ও সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। মিডনাইট ভোট ডাকাতির পর গোটা দেশের ভোট বঞ্চিত মানুষ এমনভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে যে, গণবিস্ফোরণ শুরু হলে গণভবনের ইট পাথরও থাকবে না। আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা ভারতের সাথে অবৈধ চুক্তি ও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও ‘গণতন্ত্রের মা’এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার কন্ঠে শ্লোগান দিয়ে রাজপথ কাঁপিয়ে তোলেন।

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন