সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় বুয়েট শিক্ষার্থী ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে  শোক সমাবেশের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মঙ্গলবারের শোক সমাবেশের কর্মসূচি বাতিল করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। বৈঠক শেষে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

গত কয়েকদিন আগেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন, সরকার অনুমতি না দিলেও তারা যে কোনও প্রকারে নাগরিক অধিকার রক্ষায় দেশের নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে অনুমতি ছাড়াই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোক সমাবেশ করবেন। হুমকি-ধামকি দেয়া সত্ত্বেও সরকারের অনুমতি না পেয়ে অবশেষে সমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হল এ জোট।

অনুমতি না দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণশোক সমাবেশের সরকার অনুমতি না দেয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ মনে করে ভোট ডাকাত গণবিচ্ছিন্ন সরকার খুবই লজ্জাকর কাজ করেছে। সরকার মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করেছে।

তারা বলেন, সরকার অনুমতি না দেয়ার কারণে ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণশোক সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে আন্দোলন-প্রতিবাদ অব্যহত থাকবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃবৃন্দ দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে জানান হয়।

সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিকল্পধারর আহ্বায়ক অ্যধাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণস্বাস্থ্যর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

টিএস/এসএমএম