সরকারের চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্যাসিনোকাণ্ডে যেসব রাঘব-বোয়াল জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এজন্য দেশের মানুষ সরকারকে ভালো চোখে দেখছে না। তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, ক্যাসিনো সম্রাট ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারকে অপসারণ করা হয়েছে। জনগণ শুধু এসব টোকাইদের অপসারণ চায় না, মানুষ এই সরকারের অপসারণ চায়।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উদ্যোগে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন ।

মির্জা আব্বাস বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে যারা মারল তারাও শিক্ষিত। কিন্তু তারা কেন তাকে মেরেছে ,সে কথা কিন্তু তারা বলেছে। তারা বলেছে, তাদের বড় ভাইদের নির্দেশে তারা আবরারকে ধরে নিয়েছে এবং মেরেছে ফেলেছে। 

খালেদা জিয়ার অতীতের একটি কথা স্মরণ করিয়ে আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া একদিন বলেছিলেন, এ সরকার জাতিকে মেধাশূন্য করতে চাচ্ছে, আবরার হত্যার মাধ্যমে সে কথা আজ পুরোপুরি সত্যে পরিণত হল।

মির্জা আব্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবরারের একমাত্র ছোট ভাইকে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আবরারের ছোট ভাই নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। তিনি আবরার হত্যাকারীদের বিচার এবং আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।

আব্বাস বলেন, আবরারের ভাই আওয়ামী লীগকে চটপোঘাত করে গিয়েছে।

ভোলা হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, স্বাধীনতা আজ কোথায় গেল? কেউ স্বাধীনভাবে কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না। ভোলায় নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হলো। কিন্তু একজন সাংবাদিক এ নিয়ে কথা বলায় তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করা হল ।

ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে ফেনী নদী শুকিয়ে যাচ্ছে দাবি করে আব্বাস বলেন, দেশটা আজ প্রায় শেষ ! শুধু পানি নয় এ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট করছে ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক ডক্টর আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আকরামুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ। 

টিএস/টিএফ