তৃণমূল কর্মীরা সাহসী হলেও বিএনপির নেতৃত্ব দুর্বল বলে মন্তব্য করেছেন দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপিকে আরও সাহসী হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরা সাহসী আছে, তবে নেতারা দুর্বল। তাদের কেউ কেউ এত টাকা-পয়সা বানিয়েছেন, রাজপথে শরীরে একটু রোদ লাগাতেও ইচ্ছে করে না।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুতবিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের আর কি নেয়ার আছে সে বিষয়ে তাদের একটি সেল গঠন করতে হবে মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, এখন তাদের কমিশন বসাতে হবে, এখান থেকে নেয়ার মতো আর কি আছে। নদীর মাছ ও সাগরে মাছ তারা ধরে নিয়ে যায়। সুন্দরবন ছিল তা পুড়ে যাচ্ছে। তিতাস নদী বন্ধ করে তাদের গাড়ি-ঘোড়া চলবে। সবকিছুই তারা নিয়ে নিচ্ছে। এই সরকার ভারতের পদলেহী একটা সরকার। আমরা সাহসী সরকার চাই, মধ্যরাতে সরকার আমরা চাই না।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে হাফিজ বলেন, এই সরকার অত্যন্ত দুর্বল সরকার। আপনারা মাঠে নামেন, ইনশাল্লাহ সরকার বিদায় হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি অনেক বড় মাপের এক নেতার কন্যা। কত সম্মান আপনার জন্য। দেশটাকে আর ধ্বংস করবেন না। আপনি দেশকে ভারতের কোন করদরাজ্য হতে  দেবেন না। আপনার বাবাও দেয়নি, আপনিও দেবেন না। আমি বলব, আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে পদত্যাগ করুন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। সব দলকে ফেয়ার একটা নির্বাচনের সুযোগ দেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আর হত্যা করবেন না।

মেজর হাফিজ আরও বলেন, সেদিন নদীর চুক্তির পূর্ণ-ব্যাখ্যা সরকারকে দিতে হবে। ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে যে চারজন নিহত হয়েছে সে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও অনেকে। 

টিএস/এসএমএম