• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৪, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম

সাদেক হোসেন খোকা : ভয়ঙ্কর গেরিলা যোদ্ধা থেকে জননেতা

সাদেক হোসেন খোকা : ভয়ঙ্কর গেরিলা যোদ্ধা থেকে জননেতা
সাদেক হোসেন খোকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীবাদী দল (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র খোকা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন ভয়ঙ্কর গেরিলা যোদ্ধা। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন সফল রাজনীতিবিদ ও জননেতা।

সাদেক হোসেন খোকার ১৯৫২ সালের ১২ মে ঢাকায়। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পরে ১৯৭১ সালে মাতৃভূমিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করতে লেখাপড়া বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও এরপর কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ পার্টির (ইউপিপি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনা ও আদর্শে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করলে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।

আমৃত্যু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শে অবিচল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত ছিলেন। সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন খোকা। হয়ে উঠেন একজন গেরিলা যোদ্ধা থেকে সফল জননেতায়।

সাদেক হোসেন খোকা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে তার দল সরকার গঠন করলে প্রথমে তিনি মৎস ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সরাসরি নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অখণ্ড ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ মেয়র ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর ধরে ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১/১১ সেনানিয়ন্ত্রিত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিশেষ প্রেক্ষাপটে তৎকালীন ঢাকার মেয়র খোকা বিএনপিতে সংস্কারবাদী হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেন। তারপরেও ২০০৮ সালের পর পুনরায় বিএনপির ঢাকা মহানগরীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে কিডনি ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে সপরিবারে নিউ ইয়র্ক চলে যান সাদেক হোসেন খোকা। তারপর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন এই নেতা। সেখানে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দেশে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা হয় এবং কয়েকটিতে সাজাও দেয় আদালত।

এক সময়কার বাম ঘরানার রাজনীতিবিদ বিএনপির বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। ঢাকার মেয়র হয়ে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করেন। রাজধানীর বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিংয়ের ইজারা দুর্নীতির মামলায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খোকাসহ ৪ জনের ১০ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

বামপন্থি রাজনীতি ছেড়ে আশির দশকে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন খোকা। ওই সময় রাজধারীর পুরান ঢাকার নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেটে বিএনপির কার্যালয় থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে ৭ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই অন্দোলনে ঢাকা মহানগর সংগ্রাম পরিষদের আহবায়কের দায়িত্ব খোকাকে দেয়া হয়েছিল। ১৯৯০ সালে ভারতে হিন্দু উগ্রবাদীদের হাতে বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হলেও তা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এতে খোকা পুরান ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসন (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) থেকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে দেশের রাজনীতি ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ঢাকার ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হলেও একমাত্র খোকা নির্বাচিত হন।

পরে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রায় পাঁচ বছর একক নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রী হন। ওই সময় পুরান ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে দলকে শক্তিশালী করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

এর আগে ১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের কাছে পরাজিত হন বিএনপির আরেক প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাস। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য বিরোধীদল আন্দোলন শুরু করলে রাজধানীতে বিএনপি কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খোকাকে ১৯৯৬ সালে মহানগর বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। পাশাপাশি খোকাকে সভাপতি ও আবদুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য আবার ২০১১ সালে সাদেক হোসেন খোকাকে আহবায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে আহবায়ক কমিটি করা হয়। এই কমিটির বিরুদ্ধেও খোকার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানা অভিযোগ তোলেন।

১/১১ রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দলে যে সংস্কারের দাবি উঠেছিল, তার প্রতি সাদেক হোসেন খোকার সমর্থন ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

খোকা পুরান ঢাকার গোপীবাগে তার পৈতৃক বাড়িতে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শুধু রাজনীতিতে নন, সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন দেশের একজন নিবেদিত প্রাণ ক্রীড়া সংগঠক। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি গড়ে তোলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব। যুদ্ধ থেকে ফিরেই ১৯৭২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দায়িত্ব নিয়ে ক্লাবকে তিন বছরের মধ্যে তৃতীয় থেকে প্রথম বিভাগে উন্নীত করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। খোকা ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ও ফরাশগঞ্জ ক্লাবের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরান ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, খোকাকে তারা সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে, দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাশে পেতেন। যখনই ডাক পড়েছে, তখনই তিনি ছুটে গেছেন পুরান ঢাকাবাসীর কাছে।

মুক্তিযুদ্ধে সাদেক হোসেন খোকা

পরিবারের অন্য কাউকে কিছু না জানিয়েই গোপনে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। মেলাঘরের ট্রেনিং ক্যাম্পে ট্রেনিং শেষে ঢাকায় অপারেশনের ফাঁকে গোপনে একবার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। ১৯৭১-এর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় ছাত্র ইউনিয়নের তৎকালীন নেতা রুহুল আমীন এবং গোপীবাগের মাসুদসহ (বুড়া) বেশ কয়েকজন মিলে প্রথমে খোকারা যান নরসিংদীর শিবপুরে। ওখানে কয়েক দিন অবস্থানের পর যুদ্ধের ট্রেনিং নেয়ার জন্য আগরতলার পৌঁছলে তাদের রিসিভ করেন শহীদুল্লাহ খান বাদল (রাশেদ খান মেননের ছোট ভাই)। সেখান থেকে প্রথমে বটতলাস্থ সিপিএম অফিসে গিয়ে মেননের সঙ্গে দেখা করে চলে চলে যান দুই নম্বর সেক্টরে। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ছিলেন সেই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার। মেজর হায়দারের (পরে কর্নেল হায়দার) নেতৃত্বে ঢাকার মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দুই নম্বর সেক্টরের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের নাম ছিল ‘মেলাঘর’। মেলাঘরের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বসবাসের জন্য একেবারেই উপযুক্ত ছিল না। পাহাড় আর ঘনজঙ্গলে পূর্ণ ছিল চারিদিক। লাল মাটির উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ একটু বৃষ্টি হলেই বেশ পিচ্ছিল হয়ে পড়তো। শৌচকর্ম সারতে যেতে হতো বনের ভেতরে। এ ক্যাম্পে বেশিরভাগই ছিল ঢাকা শহরের ছেলে, এ রকম পরিবেশে থাকতে তারা অভ্যস্ত ছিল না। খোকা ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মরহুম মেসবাহ উদ্দিন সাবু এক সঙ্গে থাকতেন। এ ক্যাম্পেই তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয় আবু সাইদ খান, শাহাদত চৌধুরী, ফতেহ আলী চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সুলতান উদ্দিন রাজা, আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, পল্টনের মানিক (পরে শহীদ), গাজী গোলাম দস্তগীর, মিজান উদ্দিন আহমেদ, শহিদুল্লাহ, চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মাসুদ, কাজী ভাই, উলফাৎ ও বাকী (পরে শহীদ) অন্যতম। মেজর হায়দারের অধীনে তিন সপ্তাহ গেরিলা ট্রেনিং শেষে তারা সম্মুখ যুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন গাফফারের (পরে জাতীয় পার্টি নেতা ও মন্ত্রী) নেতৃত্বাধীন সাব সেক্টরে। ওখানে ট্রেনিং শেষ করার পর প্রথমদিকে কসবা-মন্দভাগ (মির্জাপুর) বর্ডার এলাকার সাব সেক্টরে কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন তিনি। ট্রেনিং শেষে একটি গেরিলা গ্রুপের কমান্ডার করে হিসাবে ঢাকায় আসেন সাদেক হোসেন খোকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের কাছে বিমান বাহিনীর রিক্রুটিং অফিস, বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সফল অপারশেনের নেতৃত্ব দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে (নভেম্বর) বিডিআর গেটে (তৎকালীন ইপিআর) সফল অপারেশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকায় অনেকগুলো সফল অপারশেনের নেতৃত্ব দেন ভয়ংকর সাহসী গেরিলা নেতা সাদেক হোসেন খোকা।

যুদ্ধের ৯ মাসই প্রতিদিন এক বা একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।

সাদেক হোসেন খোকা ‘‘মুক্তিযুদ্ধের স্বর্ণালি দিনগুলো’ প্রবন্ধে লিখেছেন- মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের কথা ভাবলেই নস্টালজিক মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। মন শুধু রণাঙ্গনের সাহসী সহযোদ্ধাদের হারানোর কারণেই ভারাক্রান্ত হয় না, তার চেয়েও বেশি হয় মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন-চেতনার দুর্দশা দেখে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা স্বপ্ন যাই বলি না কেন, সেটা শুধু একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতা নয়, একটি সার্বিক মুক্তিই ছিল এ মহান যুদ্ধের মূল স্প্রিরিট।  সে কারণেই এর নাম হয়েছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ’।  মূলত বৃটিশ বেনিয়াদের রেখে যাওয়া সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও মানবিক সমাজ গঠনই ছিল স্বপ্ন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এ জাতির একটি সামষ্টিক মুক্তির লক্ষ্য থেকে। তবুও বলবো, জাতীয় মুক্তি না এলেও একটি স্বাধীন দেশ তো আমরা পেয়েছি। যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা দেশকে গড়ে তোলার কথা ভাবতে পারছি, স্বপ্ন দেখতে পারছি সুন্দর আগামীর।’’

ছবি ● ফাইল ছবি

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন