• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৭, ২০১৯, ০৮:০৪ পিএম

৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় জীবনে ঐতিহাসিক মাইল ফলক : রব

৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় জীবনে ঐতিহাসিক মাইল ফলক :  রব
আ স ম আবদুর রব-ফাইল ছবি

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষা কবচ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র যখন ক্ষমতার দ্বন্ধ-সংঘাতে গভীর সঙ্কটে নিপতিত-স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্নের পথে তখন কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দেশের সাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দেয়। ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় জীবনে ঐতিহাসিক মাইল ফলক। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা-সংহতি ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ-অংশীদারিত্ব যে অপরিহার্য সে নতুন রাজনৈতিক দর্শণ উদ্ভাবিত হয়েছে ৭ নভেম্বর।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৬৫ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ৪র্থ তলায় সিপাহী-গণঅভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রব।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সা কা ম আনিছুর রহমান খান কামাল, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজাসহ আরও অনেকে।

সভায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং মরহুমের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

রব বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা থেকেই পরবর্তীতে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে দেশ শাসনে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারিত্ব প্রদানে রাজনৈতিক তত্ত্ব উদ্ভাবিত হয় ১৮ দফার মধ্যমে। সেই ১৮ দফা বিকশিত করা হচ্ছে জেএসডির ১০ দফা ও সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফায়। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিলোপ সাধনই হচ্ছে ৭ নভেম্বরের চেতনা। জেএসডি অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক কর্মসূচী দিয়ে ৭ নভেম্বরের চেতনা ধারণ করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হলেই ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা বিলোপের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

টিএস/এসএমএম