• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল 

ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি আড়াল করতে পারবেন না 

ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি আড়াল করতে পারবেন না 
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল- ছবি: জাগরণ

প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চুনোপুটি ধরে আর ক্যাসিনোর গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি থেকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণের দৃষ্টিকে আড়াল করতে পারবেন না। 

তিনি বলেন,ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন এর হিসাব কোথায়? শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়েছেন তার হিসাব কোথায়? এসবের হিসাব থাকবে না, কারণ এর সঙ্গে জড়িতরা কেউ মন্ত্রী,কেউ উপদেষ্টা, আবার কেউ আপনাদের আপনজন। 

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সরকারে যারা আছে তারা ৭ নভেম্বরকে স্বীকার করে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারা স্বীকার করবে কেন? তারা তো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্বে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখতে চায় তারা অবশ্যই ৭ নভেম্বরকে বিশ্বাস করে এবং এর চেতনা ধারণ করে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন সাদেক হোসেন খোকার জানাজা ছাড়া আর কোন খবর ছিল না। আজকে আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোতে লক্ষ্য করবেন এটাকে বেশিরভাগ পত্রিকা ভেতরের এবং পেছনের পেজে দিয়েছে। আমি জানি, মিডিয়াগুলোকে প্রশ্ন করলে তারা বলবে, আমাদের করার কিছু নেই আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশে করছে আবার কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে করছে। কারণ এটা সামনের পাতায় ছাপলে হয়তোবা তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 

তিনি বলেন, যারা দেশের পক্ষে কথা বলেন তাদেরকে টেলিভিশনে ডাকা হয় না। যারা দেশের, দেশের জনগণের পক্ষে লিখেন তারা ঘর থেকে বের হতে পারেন না। বর্তমান সরকারকে একনায়কতান্ত্রিক সরকার দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর থেকে মুক্তি পেতে হবেই। মুক্তির কোনো বিকল্প নেই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে, অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে আনতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, কোন ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয় এবং আমরা সেই পথেই যাচ্ছি। আমরা মনে করি সমস্ত দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হব। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

আলোচনা সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। 

টিএস/বিএস