সংগঠনের ১৩তম সম্মেলনের মধ্যদিয়ে পুরনোদের বদলে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ। সাত বছর পর সংগঠনের কাউন্সিলের মধ্যদিয়ে গঠিত কমিটিতে নতুন সভাপতি পদ পেয়েছেন ফজলুল হক মন্টু। একজন মুক্তিযোদ্ধা মন্টু আগের কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি পদে ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন কে এম আজম খশরু। তিনি আগের কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন এই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। সভাপতি পদে ৭ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়। সেখান থেকে এ দুজনকে পরবর্তী মেয়াদে নেতৃত্ব দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও শুকুর মাহমুদ ও সিরাজুল ইসলামের কমিটি সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্বে ছিলেন। যা নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মতো শ্রমিক লীগও জাতীয় সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করল।
২০১২ সালের সর্বশেষ সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলামকে।
জানা গেছে, নতুন সভাপতি ফজলুল হক মন্টু এর আগে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পাবনা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মন্টু ১৯৬৯-৭০ সালে পাবলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি পাবনা জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিএস/ এফসি