• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৮:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৮:৩১ পিএম

সমঝোতাকে আমলে নিচ্ছে না জেএসডিতে রব বিরোধীরা 

সমঝোতাকে আমলে নিচ্ছে না জেএসডিতে রব বিরোধীরা 

সংগঠনকে ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঁতাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা। এমনকী আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেএসডির জাতীয় কাউন্সিলকে চ্যালেঞ্জ করে এরইমধ্যে ওই নেতারা নতুন বছরের ১১ জানুয়ারি পাল্টা কনভেনশনও ডেকেছেন। অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপার বলে দৈনিক জাগরণকে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন। তিনি কোনো লুকোছাপা না করেই বলেছিলেন, জেএসডি ভাঙতে পারে। ভাঙাটাই স্বাভাবিক।

এদিকে, জেএসডিকে অখণ্ড রাখতে সংগঠনের সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’র চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে, রবের সেই সমাঝোতা চেষ্টায় এখনও সাড়া দিচ্ছেন না বিদ্রোহী নেতারা। তাই আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডিতে অসন্তোষের আপাতত সুরাহা হচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক সংকট নিরসনে তার পক্ষ থেকে পাঠানো সমঝোতার প্রস্তাব আমলে নিচ্ছে না বিদ্রোহীরা। 

দল ভাঙা বা সমঝোতার ব্যাপারে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা এখন সমঝোতা নিয়ে ভাবছি না। দলের শীর্ষ নেতার এ ধরনের আচরণ বহুদিন থেকে। তাই ক্ষোভও পুরনো এবং বহুদিনের। 

তিনি জানান, দলের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সমঝোতার কথা বলেছেন। কিন্তু লিখিত কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। তবে আমরা পত্র-পত্রিকায় বিবৃতিতে দেখেছি, তাদের পক্ষ থেকে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে।  

এদিকে, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এখনও সমঝোতার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এজন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলের আগে কোনো বহিষ্কার বা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। 

অন্যদিকে, দলের স্টিয়ারিং কমিটির মূলতবি সভা থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক বিরোধ বা মতপার্থক্য বা ক্ষোভ বা ভিন্নতা নিরসনের উপযুক্ত মাধ্যম হলো নির্দিষ্ট ফোরাম বা কমিটিতে আলোচনা। জেএসডি আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিরোধ নিরসনে আস্থাশীল। তবে ওই সভার সাংগঠনিক প্রস্তাবে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত দলের ৮ জনের বিবৃতি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। 

আরও বলা হয়, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে গঠিত কমিটি এবং সেই কমিটির পদ-পদবি গ্রহণ, দলীয় কর্মকাণ্ডে ৪ বছর অংশগ্রহণ করে হঠাৎ অবৈধ বলা কোনোক্রমেই ন্যায়সঙ্গত নয়। একই সভায় ৮ জনের অতীত অবদান বিবেচনায় নিয়ে অচিরেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে দলীয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

জেএসডি সূত্র জানায়, আগামীতে দলটির হাল ধরাকে কেন্দ্র করেই সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যে ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, কোটারিতন্ত্র ও রাজনৈতিক আদর্শ বিচ্যুতির অভিযোগ এনে ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করে আবদুল মালেক রতনের নেতৃত্বে ৮ জন শীর্ষ নেতা ১১ জানুয়ারি জাতীয় কনভেনশন ডেকেছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা তাদের এ মতামত প্রকাশ করেন। 
 
টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন