• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ১০:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ১০:২৫ এএম

টাকা দিয়ে পদ না পাওয়ায় থানায় জিডি, টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার হুমকি

টাকা দিয়ে পদ না পাওয়ায় থানায় জিডি, টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যার হুমকি

পদ নেই, পাশাপাশি টাকাও নেই। টাকা চাইলেই আসে ছাত্রলীগ নেতার প্রাণ নাশের হুমকি। এ কারণে নিরাপত্তাহীনতায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে যাত্রবাড়ী থানা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন রোজী বেগম নামের এক নারী।

জিডিতে রোজী নামের ওই নারী উল্লেখ করেন, ‘‘মেহেদী হাসান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি, সেই সুবাদে আমার পরিচিত। মেহেদী আমার ছোট ছেলে মোহাম্মদ শাকিল হোসেন আনন্দকে (২৪) ছাত্রলীগের যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি পদ দেয়ার কথা বলেন, পরবর্তী সময়ে আমার ছেলেকে কমিটিতে না নিয়ে অন্যজনকে কমিটিতে পদায়ন করেছে। এ বিষয়ে আমি তার সাথে কথা বললে সে উত্তেজিত হয়ে আমার এবং আমার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়।’’

রোজী বেগমের স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মেহেদী আমার ছেলেকে নেতা বানানের কথা বলে দুই লাখ টাকা নেয়। কিন্তু কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি। অন্য ছেলেকে দিয়ে কমিটি দেয়। আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমায় হত্যার হুমকি দেয়।  জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে পরিচয় দেন।

তিনি আরও বলেন, আমি দলীয় লোক হওয়ার পরও মেহেদী আমার সঙ্গে এমনটা করেছে, শুধু আমি না, আরও পাঁচ-ছয়জন আছে যাদের কাছ থেকে মেহেদী টাকা নিয়েছে।

দুই লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, চাকরিপ্রার্থী অনেকে থাকে। যাদের চাকরি হয় না, তখন তারা অভিযোগ করে, অন্যরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। এই বিষয়টা তেমনই। রোজী বেগম উল্টো হুমকি দিয়েছেন দাবি করে মেহেদী বলেন, আমি তার ছেলেকে নেতা বানাইনি বলে তারা আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়েছেন। আমি যখন বলেছি এ বিষয়ে আমার কিছু করার নাই, তখন সে বলে দাঁড়া আমি জিডি করচি। আপনি খোঁজ নিলে জানতে পারবেন, আনন্দ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে ছাত্রলীগের পদ চেয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়, সে কেমন হতে পারে বুঝেন। 

দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিসহ অনেকের প্রভাব থাকে। তিনি যেভাবে বলেছেন, আমি সেভাবেই করেছি। আমার কাছে প্রমাণ আছে। এখন তারা (শাকিল হোসেন আনন্দর পরিবার) আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডি হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচএম/এসএমএম