• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৬:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম

ওয়ার্কার্স পার্টির বিদ্রোহী অংশের সভা

বুর্জোয়া লেজুরবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঐত্যিহাসিক ঘটনা

বুর্জোয়া লেজুরবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঐত্যিহাসিক ঘটনা
যশোরে ওয়ার্কার্স পার্টির বিদ্রোহী অংশের সভায় নেতারা - ছবি : জাগরণ

রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির বিদ্রোহী অংশের বর্ধিত সভায় নেতারা বলেছেন, সুবিধাবাদী বুর্জোয়া লেজুরবাদের মতাদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বিদ্রোহীরা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মতাদর্শ রক্ষা সমন্বয় কমিটির ব্যানারে বর্ধিত সভা আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) যশোরে আয়োজন করে।  

গত মাসে মেননের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য নুরুল হাসান ও ইকবাল কবির জাহিদ নেতৃত্বাধীন ছয় নেতা এক খোলা চিঠির মাধ্যমে ২-৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় কংগ্রেস বর্জনের ঘোষণা দেন। তারা বাম গণতান্ত্রিক শক্তির নেতৃত্বে জনগণের বিকল্প শক্তির মহাউত্থান ঘটানোর কথা জানান। এর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাসকে।

বিদ্রোহী এই নেতাদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মতাদর্শ রক্ষা সমন্বয় কমিটির এক বর্ধিত সভা যশোর জেলা পার্টি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ‘যশোর কনভেশন’ হিসেবে অভিহিত এ সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি সাবেক চেয়ারম্যান সদস্য অনিল বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস।

সভার শুরুতেই সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ কোন পরিস্থিতিতে এবং কেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একাংশ কংগ্রেস বর্জনের যে আহ্বান রেখেছিলেন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বিভক্ত কমিউনিস্টদের ঐক্যবদ্ধ করা, বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা, শ্রেণি সংগ্রাম গণসংগ্রাম জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন লুটেরা বুর্জোয়া শ্রেণির সরকারের বিকল্প মৌলবাদী চরম দক্ষিণপন্থি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নয়- জনগণের বিকল্প শক্তি এবং বাম গণতান্ত্রিক শক্তির সমাবেশ গড়ে তোলার লড়াই জরুরি হয়ে পরেছে। তাই পার্টির কেন্দ্রে থাকা সুবিধাবাদী বুর্জোয়া লেজুরবাদের মতাদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। 

তিনি বলেন, এই সরকার ব্যবসায়ী, লুটেরা ধনিক শ্রেণি, ঘুষখোর আমলা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার। পিয়াজ-রসুন থেকে শুরু করে জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে ব্যবসা করছে সরকারের লোকেরা। তারা একদিকে যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, তেমনি লুটপাট, দলীয়করণ, শোষণ নির্যাতনের মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল গুটিকতক ব্যক্তির পকেটে ঢুকছে, ফলে সমাজে দেখা দিয়েছে সীমাহীন বৈষম্য। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দিতে কুণ্ঠা করছে না। 
পাটকল বস্ত্রকলসহ লক্ষ-কোটি শ্রমিকের ন্যায়সংগত দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে কোনো উন্নয়নই সুফল বয়ে আনতে পারে না। এমন একটি শ্বাস রুদ্ধকর পরিস্থিতিতে লুটেরা বুর্জোয়াদের নেতৃত্বে নয়- বাম গণতান্ত্রিক শক্তির নেতৃত্বে জনগণের বিকল্প শক্তির মহাউত্থান ঘটাতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

সভায় জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর যশোরে অনুষ্ঠিতব্য মতাদর্শ রক্ষা সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় খুলনা বিভাগের সকল জেলা কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। 

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন