• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম

চেয়ারম্যান নয়, কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব : শেখ পরশ

চেয়ারম্যান নয়, কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব :  শেখ পরশ
কর্মীদের সাথে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ -ছবি : সংগৃহীত

‘‘যুবলীগের একজন সভাপতি হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করব। আপনারাই আমার শক্তি হবেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এই সংগঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর পর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা প্রতিহত করার জন্যই এই সংগঠন কাজ করছে’’

..............................

ইমেজ সঙ্কটে থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বক্তৃতায় শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘‘সভাপতি হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। চেষ্টা থাকবে যুব সমাজ যেন ‘আই হেটস পলিটিক্স’ থেকে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে দেশের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে।’’

এতদিন কেনো রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন তার ব্যাখা দেন যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তার বক্তৃতায়। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি একটা জাতির জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করেছে তাকে যখন এতো নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করতে পারলো, তাতে আশাহত হওয়াটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ এবং তার কন্যার দেশের প্রতি হৃদয়ের ভালবাসা থেকে আমি সাহস পাই। তাই আজ আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে আমি সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে নাম ঘোষণার পর এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন শেখ ফজলে শামস পরশ।

শেখ ফজলে শামস পরশ- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বড় পুত্র এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বড় ভাই।

পরশ বলেন, আমার বাবা যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি এবং আমার মা আরজু মনিকে সেদিন প্রাণ দিতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একটা উদ্ধৃতি তুলে ধরে পরশ বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ শহীদের রক্ত দ্বারা তৈরি করা একটি অনুভুতির নাম।’ 

আমি একজন শহীদের সন্তান। ছোটবেলায় আমি এবং আমার ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি মা-বাবাসহ অন্যান্য স্বজনদের চিরতরে হারিয়েছি। তাই আমি রাজনীতি থেকে অনেক দূরে ছিলাম। আমাদের দুঃখ শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয় শেখ রেহেনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুধাবন করেন।

তিনি বলেন, যুবলীগের একজন সভাপতি হিসেবে নয়, একজন কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করব। আপনারাই আমার শক্তি হবেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এই সংগঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর পর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা প্রতিহত করার জন্যই এই সংগঠন কাজ করছে।

শেখ পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের কারণে সে বিপ্লব সম্পূর্ণ হয় নাই। আজকে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি দিয়েছেন সেই কর্মসূচিকে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের একটি কর্মসূচি হিসেবে দেখি। যুবলীগের সকল কর্মীদের একটাই দায়িত্ব আমাদের সম্পূর্ণ উদ্দীপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার কর্মসূচি সফল করার জন্য কাজ করা। দেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর আস্থাশীল, তারা দেখেছেন গত কয়েক বছরের কিভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে দাঁড় করিয়েছে। তারা এও দেখেছেন কিভাবে এদেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমাদের দায়িত্ব- আমরা যেন আমাদের কর্মের মাধ্যমে এই বিশ্বাসের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি। আমার চেষ্টা থাকবে যুব সমাজ যেন ‘আই হেটস পলিটিক্স’ কালচার থেকে বেরিয়ে এসে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান তুলে দেশের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করে। আমাদের একটাই পরিচয় বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন সাধারণ কর্মী।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন