• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ১০:৩১ পিএম

রাত পোহালেই সম্মেলন

ঢাকা মহানগর আ.লীগে নেতৃত্ব পরিবর্তনের আভাস শেখ হাসিনার

ঢাকা মহানগর আ.লীগে নেতৃত্ব পরিবর্তনের আভাস শেখ হাসিনার

শনিবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা ও গণভবন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত। স্বাগত বক্তব্য দেবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

শুক্রবারের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা সূত্র জানায়, বৈঠকে দলীয় প্রধান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রসঙ্গে কথা তোলেন। তিনি উপস্থিত নেতাদের কাছে জানতে চান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারও কোনও সুপারিশ আছে কিনা। কিন্তু উপস্থিত নেতাদের কেউই মুখ খোলেননি। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মহানগরের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে কাকে বাদ দিয়ে কাকে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) কিছু বলেননি।

২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর ৩ বছর পর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগে বিভক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মহানগর দুই অংশের ৪৫ টি থানা, ১০০ টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এই কমিটিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি করা হয় এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মোহম্মদপুর এলাকার সাদেক খানকে। দক্ষিণে সভাপতি করা হয় পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় শাহে আলম মুরাদকে।

সাংগঠনিক গুরুত্ব বিবেচনায় দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা মহানগর। যা আওয়ামী লীগের শক্তিকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঙ্গা।

এবারের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে। এ জন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবেই এই সম্মেলনকে দেখছেন আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা। জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পনা মাফিক কমিটি করবে আওয়ামী লীগ। সিটি করপোরেশনের জন্য প্রার্থী রেখে মহানগরে প্রবীণ-নবীনের মেলবন্ধনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে দায়িত্বে আনতে পারেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

মহানগরের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ‘যোগ্য প্রার্থী’দের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনিই শেষ সিদ্ধান্ত দেবেন।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের নেতৃত্বের জন্য ঢাকার আদি বাসিন্দাদের খোঁজা হচ্ছে। অর্থাৎ যারা ঢাকায় অনেক আগে থেকেই স্থানীয় তারা নেতৃত্ব চয়নে প্রাধান্য পাবেন এমন আলোচনা আছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলাতে যে রকম সম্মেলনের পর বিকেলে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল মহানগরীর কমিটির ক্ষেত্রেও তেমনটি হবে। তবে যেহেতু আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেজন্য কাউন্সিল পর্যন্ত মহানগরের কমিটি ঘোষণা বিলম্বিত হতে পারে এমন তথ্যও রয়েছে।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন