মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো মিছিলে গুলি করা নয়, কারো স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া নয়। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর)  জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ভুলে গেছে। জেনারেল এমএজি ওসমানীর নাম নেয় না। তাজউদ্দীন আহমদের নাম নেয় না। মানে তারা ছাড়া আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে বাংলাদেশের প্রভু মনে করে। তাদের বিরুদ্ধে লড়ার মানে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা খুব সহজ নয়। 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গুম, ১ লাখের ওপর মামলা, ২৬ লাখের বেশি আসামি। এভাবেই আমরা লড়ে চলেছি। যার যার জায়গা থেকে লড়তে হবে।

হোলি আর্টিজান মামলার রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সকল জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। হোলি আর্টিজান মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসলে যখন কথা বলার সুযোগ থাকে না। সকল দরজা জানালা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ঐক্যের সময়। দুঃশাসন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকার তো সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সরকার চারদিকে ব্যর্থ।

তিনি বলেন, আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি। আর আওয়ামী লীগের ছোটো সংগঠনেরও কতো টাকা খরচ করে আয়োজন। এখন চলছে উৎসব। বছরজুড়ে নাকি উৎসব। কার টাকা এগুলো? জনগণের টাকা।

সভায় বিএনপির মহাসচিব অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের জন্য সরকারকে নির্দলীয় সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। আমি পিজির (বিএসএমএমইউ) পরিচালককে ধিক্কার দেই। তিনি সত্য গোপন করেছেন। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যাশা করি ৫ ডিসেম্বর সত্য কথা বলবেন। 

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে  গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল জাগপার আসাদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

টিএস/বিএস/একেএস