• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১, ২০১৯, ০৩:২২ পিএম

হতাশাই শেষ কথা নয় : মির্জা ফখরুল 

হতাশাই শেষ কথা নয় : মির্জা ফখরুল 
সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম- ছবি: জাগরণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দানব সরকারকে সরাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই হতাশার কথা বলেন। হতাশাই শেষ কথা নয়। মনে রাখতে হবে অন্ধকারের পরেই আসবে নতুন ভোর। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই  সমাজকে পুরোপুরি দূষিত করে ফেলেছে। আজকে চতুর্দিকে বিভক্তি এতো ভয়ঙ্করভাবে সমাজে ঢুকে গেছে এখন ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ১৯৭৫ সালে এ ধরণের অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। রক্ষীবাহিনী গঠন করে কেউ কথা বললে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে নারী শিশুরাও রক্ষা পেতো না।
  
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

‘সাগর রুনি! বিশ্বজিৎ!  নুসরাত! তনু! মীম! আবরার! সুমি!সহ সকল নৃশংসতাই যেনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা!' নামে এ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব দুঃখ হয়, যখন দেখি, বেশিভাগ তরুণ- যারা বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে কিন্তু তারা রাজনীতি করতে চায় না। অথবা রাজনীতিবিদদের পছন্দ করে না। তবে রাজনীতিবিদদের পছন্দ না করারও যথেষ্ট কারণ আছে। 
বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ভেঙে ফেলতে হবে। ভেঙে ফেলে একটা নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। 

আওয়ামী লীগের উন্নয়নের রোল মডেলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন যেটা দাঁড়িয়েছে তারা এখন সন্ত্রাসের রোল মডেল, তারা আজকে নারী ধর্ষণের রোল মডেল, তারা দুর্নীতির রোল মডেল। তারা আজ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে। 

‘টাকা বানানো একটা ব্যাধি’ প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই রোগেতো আপনারাই বেশি আক্রান্ত হয়ে গেলেন। আপনার সোনার ছেলেরা তাদেরকে এখন ধরে ধরে আনছেন, তাদেরকে বলার চেষ্টা করছেন যে তোমরা এখন ভালো হয়ে যাও। 

তিনি বলেন, এদেশে কেউ এখন নিরাপদ না। যারা একটু শারীরিকভাবে দুর্বল তারা বেশি অনিরাপদ। দু মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধা অথবা তরুণ-যুবক, বাবা, ভাই, কেউ কিন্তু এখানে নিরাপদ না। বাংলাদেশ আসলে এখন একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আজ প্রতিদিনই নারী ও শিশুর উপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে।


ফখরুল ইসলাম বলেন, সমাজকে বিভক্ত করে ফেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। সমাজকে পুরোপুরিভাবে দূষিত করে ফেলেছে। চতুর্দিকে তাকালেই দেখা যাবে বিভক্তি। এই বিভক্তিটা ভয়ংকরভাবে সমাজের মধ্যে চলে গেছে। সেই ভয়ে, ত্রাসে কেউ কথাও বলতে চায় না।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতায় রায় চৌধুরী,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সাদস্য আবু নাসের মু. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

টিএস/বিএস