• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

স্বৈরাচার পতনের সংবাদ প্রকাশ না হওয়ায় ফখরুলের বিস্ময় 

স্বৈরাচার পতনের সংবাদ প্রকাশ না হওয়ায় ফখরুলের বিস্ময় 

স্বৈরাচার পতন দিবসে দেশের গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ না হওয়ায় আক্ষেপ, দুঃখ ও নিজের বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমও কি মনে করছে, এখন আর গণতন্ত্রের প্রয়োজন নেই? এ বিষয়ে আমি বিস্মিত। 

শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০'র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ বিস্ময় প্রকাশ করেন। 

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি,  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবৈধ সাজা বাতিল ও স্বৈরাচার এরশাদের পতন উপলক্ষে স্বৈরাচার পতন দিবস' শীর্ষক এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের পতন দিবস প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুঃখের কথা। আমার কাছে মনে হয় আজকে জাতি এই দিনটাকে ভুলে যাচ্ছে। আজকের পত্রিকা খুলে প্রথম পাতায় দেখলাম, আজকের এই দিনটাকে স্মরণ করে দেয়া হয়নি। যাদের বলা হয়,  রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। যারা গণতন্ত্রকে ধরে রাখে, গণতন্ত্র ও জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করে, গণতন্ত্র রক্ষার কবজ যাদের হাতে,  সেই মিডিয়া আজকে ৬ ডিসেম্বরকে ভুলে গেছে! তাহলে কি আমরা মনে করবো,  সংবাদ মাধ্যমও কি মনে করছে এখন আর দেশে গণতন্ত্রের প্রয়োজন নেই? আমি বিস্মিত ! 

গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ঘটনাকে নজিরবিহীন বলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নজিরবিহীন তো আমরাও মনে করছি। এই ধরণের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। আর গতকালকে তো সরকার আদালত অবমাননা করেছে। বিএসএমএমইউ'র ভাইস চ্যান্সেলরও আদালত অবমাননা করেছেন। কারণ কোর্টের নির্দেশ ছিল,  ৫ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু সেটা দেয়া হয়নি। এজন্য তো আদালত অবমাননা হওয়া উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান বিচারপতিকে সম্মান করি ও শ্রদ্ধা করি এবং বিচার বিভাগকেও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমরা বিস্মিত হই, যখন দেখি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়। আর অ্যাটর্নি জেনারেল সব সময় সরকারের স্বার্থ রক্ষার জন্য চেষ্টা করেন। এমনভাবে চেষ্টা করেন,  মনে হয় সরকারের না দলের স্বার্থ রক্ষার জন্য চেষ্টা করছেন। আর আমরা গতকাল বিক্ষুব্ধ ও বিস্মিত হয়েছি যে, এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেননি। তাই এরা যখন বিচার বিভাগ অবমাননার কথা বলেন!.. কিন্তু এরাই হাইকোর্টে লাথি মেরেছে, হাইকোর্টে তারা বস্তি বসিয়েছে, লাঠি মিছিল করেছে। তারা আজকে এই সব  কথা বলছে! 

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। ডাক্তারা বলেছেন, আর বিলম্ব হলে তাকে সুস্থ্য অবস্থায় পাওয়া যাবে না। এমনকি প্রাণ হারিয়েও ফেলতে পারেন। তাই আমরা বলেছি, সব বাদ দেন, শুধু মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরশাদের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করলেন, তাদের সঙ্গে বেইমানি করে ‘আওয়ামী লীগ’।  তারা সেদিন এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনে গিয়েছিল। আজকেও তারা এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতা দখল করে আছে! এটা কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এখানে আমাদের ইয়াং ছেলে আছে,তারা মোবাইল এভাবে ধরছে! এটা দিয়ে কোন কাজ হবে না। আমরা রক্ত দিয়ে কিন্তু আইয়ুব খানকে সরিয়েছিলাম। আজকে তাই আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।

টিএস/বিএস