• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০৭:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ১০:০০ পিএম

মির্জা ফখরুলকে প্রত্যাখ্যান করায় ঠাকুরগাঁওবাসীকে নানকের ধন্যবাদ

মির্জা ফখরুলকে প্রত্যাখ্যান করায় ঠাকুরগাঁওবাসীকে নানকের ধন্যবাদ
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক-ছবি : আল হেলাল শুভ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এমন একটি এলাকায় এসেছি সেখানে (ঠাকুরগাঁও) জন্মগ্রহণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমি এ এলাকার মানুষকে তাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে মির্জা ফখরুল ও বিএনপির রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করায় ধন্যবাদ জানাই। এখান থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মির্জা ফখরুল গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বগুড়ায়। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু থাকতে পারে না। উনার (মির্জা ফখরুল) লজ্জা নেই। তার দলের ভেতরেও লাজুকতা নেই। এখন বিএনপির দুই কানই কাটা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বিডি হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। 

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলনের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও- ১ আসনের সংসদ সদস্য ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলের সহ-সম্পাদক নাইমুজ্জামান মুক্তা ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া তবাসসুম জুঁই। সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টো।

সভাপতি করেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সভাপতি দবিরুল ইসলাম।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে নানক বলেন, যার এক কান কাটা সে হাঁটে রাস্তার এক পাশ দিয়ে। আর যার দুই কান কাটা সে লজ্জার মাথা খেয়ে হাটে রাস্তার মাঝখান দিয়ে। সে দশা হলো বিএনপির। তাদের দুই কানই কাটা। ওদের নেতা গ্রেফতার হয় দুর্নীতির দায়ে। ওদের নেতা খালেদা জিয়া আইনি সকল লড়াই করার পরও প্রমাণ করতে পারেননি তিনি দুর্নীতি করেননি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব যতই আবোল-তাবোল বকেন না কেনো, প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে আইনজীবীদের দিয়ে হট্টগোল আর ঢাকা শহরের গাড়ি ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তাকে মুক্ত করতে হবে আইনি লড়াই করে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আমরা গ্রেফতার করিনি। রাজনৈতিক কারণে তিনি গ্রেফতার হননি। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির দায়ে।

ঠাকুরগাঁওয়ের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নানক বলেন, কোনও কমিটিতেই অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে পারবে না। অনুপ্রবেশকারীদের ঝেটিয়ে বের করে দিতে হবে। ত্যাগী নেতাদের জায়গা করে দেয়ার জন্য এ সময় তিনি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান 

তিনি বলেন, স্বজনপ্রীতি করে আওয়ামী লীগ চলবে না। তবে সমাজের ভাল মানুষের জন্য, সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্য আছে তাদের জন্য দলের দরজা খোলা রাখতে হবে।

সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিশৃঙ্খলা চালানোর জন্য একটি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও থেকে বিতারিত একজন মানুষ। সারাদেশকে যিনি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দুর্নীতি, জঙ্গি, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।

বি এম মোজাম্মেল হক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আজকে তারই প্রতিনিধি আপনাদের এই এলাকার সন্তান, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার পরিবারের কী ভূমিকা ছিল ? তারা স্বাধীনতা চাননি, তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তারা আজও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে একত্রিত করে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বানচাল করতে চাচ্ছে মির্জা ফখরুল। 

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন