• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৮, ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম

‘খালেদার সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ’ 

‘খালেদার সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ’ 
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। 

এই মুহূর্তে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে তার জীবনহানীর ঝুঁকি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন,  সুচিকিৎসার অভাবে তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। শেখ হাসিনা ও তার পারিষদবর্গ খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারীরিক অবস্থা নিয়ে রীতিমত রসিকতা করছেন। এই রসিকতা এক নিষ্ঠুর মানসিক বিকারগ্রস্ততার লক্ষণ। বেগম জিয়ার জামিন যেন না হয় সেজন্য সরকারপ্রধান নিজেই প্রকাশ্য সমাবেশে রায় ঘোষনা করছেন। 

রিজভী অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তার ভাই-বোন-স্বজনরা সাক্ষাৎ করার আবেদন করলেও কারাকর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনার নির্দেশে অনুমতি দিচ্ছে না। গত ২৫ দিন হলো দেশনেত্রীর সঙ্গে তার স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত ১৩ নভেম্বরের পর আর সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। ফলে দেশনেত্রীকে নিয়ে আমরা চরম শংকা ও উৎকন্ঠায় আছি। 

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন,একজন বন্দির সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে না দেয়া এক চরম মানসিক নিপীড়ন। পৃথিবীর কোনো নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দিদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ওপর। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারা কর্তৃপক্ষ তাতে কোনো কর্ণপাতই করেননি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছেন কারাবিধি লঙ্ঘন করে। সরকার  সকল ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে বেগম জিয়ার ওপর বঞ্চনার পরিমান দিনকে দিন ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করছে। এই কদর্য মানসিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল ও বিপন্ন করা। এই অমানবিক আচরণে দেশের জনগণ ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে শুধু তার আত্মীয়স্বজনরাই নয়, দেশ-বিদেশের মানুষ উদ্বেগাকুল ও উৎকন্ঠিত। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল সিবিএ ও ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে মুজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মুজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে গত ২৩ নভেম্বর থেকে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলনে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মুজুরি না পেয়ে চরম অর্থসংকটে রয়েছে। তাতে পরিবার-পরিজনদের মুখের আহার জোটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর  মঙ্গলবার থেকে পাটকল শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের নিয়ে স্ব স্ব মিলগেটে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাচ্ছে শ্রমিকরা। অবিলম্বে শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানাচ্ছে বিএনপি। জনগণের আস্থার রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শ্রমিকদের এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

টিএস/বিএস