• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

ব্যস্ততার কারণে ভারত সফরে যাননি দুইমন্ত্রী : কাদের

ব্যস্ততার কারণে ভারত সফরে যাননি দুইমন্ত্রী : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ভারত সফরে যাননি। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরামের প্রথম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব আবুল কাশেম।

কাদের বলেন, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরের সঙ্গে বয়কটের কোনও বিষয় নয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণে তারা ভারত সফরে যাননি। তাই বলে সফর চিরতরে বাতিল হয়নি। পরবর্তীতে যাবেন। ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক ও গঠনমূলক বন্ধুত্ব রয়েছে। এটা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সে ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। 

এনআরসি নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম দেশ। তাদের পার্লামেন্টে যদি কোনও আইন পাস হয়, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সেখানে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে যে বিষয়গুলো আমাদের অ্যাফেক্ট করে বা প্রতিক্রিয়া আমাদের কাছে আসে বা আমরা অ্যাফেক্টেড হই, অবশ্যই আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। সেখান থেকে অলরেডি বক্তব্য রাখা হয়েছে। পররাষ্ট্র থেকে যে বক্তব্য রাখা হয়েছে এর বাইরে আমার কোনও ভিন্ন বক্তব্য নাই। শুধু এটুকু বলতে চাই শেখ হাসিনার সরকারই হচ্ছে পঁচাত্তর পরবর্তী একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মাঝে মাঝে হয়তো দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে চাই। 

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আসলে কোনও দলীয় পরিচয়ে হয় না। দুর্বৃত্তদের কোনও দল নেই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলতে যেটা বোঝায় সেটি দগদগে চিত্র দেখা যাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের ওপর যে বর্বরতা হয়েছে তার সঙ্গে। সেটি কেবল ’৭১-এর বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা চলে।

সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যাগুলো যার যার জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সামধান করতে চায় বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে আজ আমাদের বিরোধিরা চুপচাপ বসে নাই। তারা সরকারকে হটানোর জন্য নানামুখী অপতৎপরতায় লিপ্ত। চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারকে বিপাকে ফেলার জন্য দ্রব্যমূল্যের ওপর ভর করেছে। দ্রব্যমূল্য যাতে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি হয় সেদিকে তাদের একটা যোগ-সাজস আছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। কিছু কিছু বিষয় আমরা জেনেছি বিরোধী দল থেকে উসকানি দেয়া হচ্ছে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত মোকাবেলার জন্য নেতা-কর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে ২৯টি জেলার সম্মেলনের কাজ শেষ করেছি। 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রভূত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আমাদের প্রবৃদ্ধি আইএমএফেরও রিপোর্ট অনুযায়ী এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের। মাথাপিছু আয়, রফতানি, আমদানি- সবকিছুর সূচকে আমরা এই দক্ষিণ এশিয়া অনেককেই পেছনে ফেলে বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে আর্থ-সামাজিক প্রত্যেকটি সূচকে উন্নয়নে এগিয়ে আছে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টরি নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাট্রিক বিজয় অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে রুশনারা আলী, রুপা হক, আফসানা বাঙালি হিসেবে বিট্রিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচিত হওয়ায় তাদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন