• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:১৯ পিএম

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক, চাই না : কাদের 

নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক, চাই না : কাদের 
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ গ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ মেনে নিয়েছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা এটা নিয়ে, প্রতিবাদ করিনি। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত হোক আমরা চাই না।’

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। ফেয়ার নির্বাচন হওয়ার জন্য যতো সহযোগিতা লাগবে তা দিয়ে যাবে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না।’

‘আমরা নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে নির্বাচন করব। নির্বাচনে কোনো বাড়াবাড়ি হবে না। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। সরকারি দল হিসেবে আমরা জনগনের রায় মাথা পেতে নেবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই একটা ভালো নির্বাচন হোক। প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত নির্বাচন করতে চাই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দশনাই দিয়েছেন।’

নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ গ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ মেনে নিয়েছে জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব যদি নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কেন পারবে না এটা হলো আমাদের প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নটা আমরা করেছি। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেশের প্রধানমন্ত্রী অংশ নেন, ক্যাম্পেইন করেন। ভারতের কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন এবং এমনকি ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি ক্যাম্পেইনে এসেছেন এবং বক্তব্য রেখেছেন। উন্নত কোনো গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। আমাদের এখানে কেন এটা হলো এই প্রশ্নটা আমরা করেছি। প্রতিবাদ করিনি।’

‘আমরা এটা মেনেও নিয়েছি। আমাদের যুক্তিযুক্ত বিষয়টি আমরা শুরু জানিয়েছি মাত্র। এটা লেবেলে প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। বাংলাদেশের জন্য এটা অভিনব একটা কিছু যে মন্ত্রী সাংসদরা অংশ নিতে পারবে না। এটা হওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের যুক্তি খণ্ডন করে বলেছেন, তাদের আচরণবিধিতে যা আছে সেটাই ফলো করার জন্য। আমার সেটা মেনে চলছি। আমাদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আগেও কোনো আপত্তি ছিল না, এখনো নেই। আমরা শুধু যুক্তির প্রশ্নে এই কথাটি উত্থাপন করেছি।’

ইভিএম নিয়ে বিএনপির সন্দেহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এমনকি ইভিএমের ব্যাপারে আমরা পরিস্কারভাবে বলেছি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা করবেন ইসি। তারা যে ইলেকশন কন্ডাক্ট করবে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না। সরকার কোনো ব্যাপারেই তাদেরকে নির্দেশ দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা ইভিএমের পক্ষে। আমরা আধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বাস করি। এজন্য সহজে ভোট দেয়া, ভোট গননা, আধুনিক পদ্ধতি অনেক সহজ। এটা পরীক্ষিত বিষয়। কাজেই আমরা এটার পক্ষে। যদি ইসি মনে করে ইভিএম সিস্টেম ছাড়া অতীতের মতো করবে এটাও তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েরও ভূমিকা থাকবে না। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই চলে যাবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’

বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগতো আমাদের প্রার্থীও করেছে যে, নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে কর্মীকে মারধর করা হয়েছে পুরান ঢাকায়।’

‘এটা ইসির দায়িত্ব। কাজেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়ার মালিক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কোনো পক্ষ যদি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তারা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে পারে। এই ব্যবস্থা যদি আমাদের কারো লঙ্ঘনে নিতে হয় সেই বিষয়টি অবশ্যই আমরা মেনে নেবো।’

স্বরসতী পূজার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে নেয়া না নেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও অপর এক প্রশ্নের জবাবে জানান ওবায়দুল কাদের।

এএইচএস/টিএফ