• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৭:০৬ পিএম

ভোটের তারিখ ও ইভিএমের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় ইসিকে সিপিবির চিঠি

ভোটের তারিখ ও ইভিএমের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় ইসিকে সিপিবির চিঠি

সরস্বতী পূজার সময় ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন, ইভিএমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা, আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। পাশাপাশি কঠোরভাবে আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের বাধ্য করার দাবিও জানানো হয়েছে। কমিশনের সচিব ঢাকায় বাইরে থাকায় সময় দিতে না পারায় ও প্রধান নির্বাচন কমিশনের একান্ত সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই চিঠি কমিশনের দপ্তরে ও ফ্যাক্স, ই-মেইল যোগে পাঠানো হয়েছে। 

সিপিবির সম্পাদক ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সের স্বাক্ষরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সিপিবির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো এ চিঠিতে আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ধারণ করে জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। 

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর গত ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিপিবির পক্ষ থেকে জামানতের টাকা কমানোসহ কতগুলো দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। তা মানা হয়নি। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ স্বরস্বতী পূজা থাকায়, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বানও ওই সংবাদ সম্মেলনে করা হয়েছিল। তারিখ পরিবর্তন না করে এখন নির্বাচনকে ঘিরে নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে ৩০ জানুয়ারি তারিখ পরিবর্তন করে নির্বাচনে নতুন তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ করছি। 

এছাড়া ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলে একমত হতে পারেনি। এমনকী ইভিএমের মাধ্যমে ভোটদানে অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ইভিএম বিতর্কের অবসান হয়নি। তাই, সার্বিক বিবেচনায় সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সংলাপ করারও উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে সমসুযোগ প্রদান গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এ লক্ষে কিছু আচরণবিধিও প্রণীত রয়েছে। কিন্তু দুঃখের সাথে দেখলাম নির্বাচনের প্রার্থিতার আবেদন জমাদান থেকে শুরু করে প্রতিদিন অনেক প্রার্থী, বিশেষত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। প্রতিদিনের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ চিত্র ফুটে উঠছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা আমাদেরকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সকল প্রার্থীকে আচরণবিধি মানতে বাধ্য করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

টিএস/ এফসি