• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১০:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১০:২২ এএম

প্রতিক্রিয়ায় তাপস

নির্বাচন না পিছিয়ে, এগিয়ে নিলেই ভালো হতো

নির্বাচন না পিছিয়ে, এগিয়ে নিলেই ভালো হতো
শেখ ফজলে নূর তাপস - ফাইল ছবি

নির্বাচন পেছানো নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নির্বাচন না পিছিয়ে, এগিয়ে নিলেই ভালো হতো। তবে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলেও জানান তিনি। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করার পর গণমাধ্যমে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

তাপস বলেন, নির্বাচন পেছানো নিয়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের আকাঙ্ক্ষা এবং আবেগের জায়গা ছিল। যেহেতু সরস্বতী পূজা ৩০ জানুয়ারি। তাদের এই আবেগের জায়গা থেকে বিবেচনা আগেই নির্বাচন কমিশনের করা উচিত ছিল। আমরা দেখেছি, এটা নিয়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের মনঃস্তাপ বা কষ্টও ছিল। তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। পরীক্ষায় প্রস্তুতির অনেক ব্যাপার থাকে। বিশেষ করে মায়েদের সম্পৃক্ততার একটা ব্যাপার থাকে। তাতে আমি মনে করি, নির্বাচনটা যদি না পিছিয়ে এগিয়ে নেয়া যেত তাতেই ভালো হতো। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। কারণ এসএসসি পরীক্ষা পেছানোয় শিক্ষার্থীদের একটি ক্ষতিই হবে। প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটবে। এমনিতেই নির্বাচনি কার্যক্রমের কারণে তাদের কিছুটা ব্যাঘাত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজার দিনে ভোট না করার জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠেছিল। সেই দাবির মুখে পিছু ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন। পুনর্নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। শনিবার সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভায় নতুন তারিখ ঠিক হয়। সিটি নির্বাচনের ভোট পেছানোয় এসএসসি পরীক্ষাও পিছিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এখন ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এই পাবলিক পরীক্ষা। এর আগে ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।

এএইচএস/ এফসি