• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১০:৩৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ১০:৩৭ এএম

ভোটগ্রহণের তারিখ পোছানোয় ইসিকে তাবিথ-ইশরাকের ধন্যবাদ

ভোটগ্রহণের তারিখ পোছানোয় ইসিকে তাবিথ-ইশরাকের ধন্যবাদ
তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন - ফাইল ছবি

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ পোছানোয় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে তারা একথা বলেন। 

তারা বলেন, ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর কারণে এখন সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা উৎসাহের সঙ্গে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এটি সবার জন্য ভালো হয়েছে। কারণ, আমরা সকলকে নিয়ে পথ চলতে চাই।

তারা বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরই আমরা নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম ভোটের এ তারিখ নিয়ে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, আমরা বলেছিলাম ৩০ জানুয়ারি হিন্দু ধর্মের একটি পূজা রয়েছে। বিশেষ করে ওই পূজাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। এর পরপরই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন হয়েছে। শুরুতে কিন্তু ইসি এ দাবিটা আমলে নেয়নি। পরে আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়েই ইসি ভোট পিছিয়েছে।

বিএনপির এ মেয়র প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের ক্ষোভ আছে। পূজার দিনে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা পক্ষে কাজ করছি। আশা করি জনগণ তাদের অধিকার রক্ষায় ১ ফেব্রুয়ারি ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবে। 

ভোটের তারিখ পেছানোর কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের যে কষ্ট হবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন, আমাদেরকে বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কাজ করতে হবে। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে দলীয় স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে। আন্দোলনের মুখে ভোটের তারিখ পেছানো সম্ভব হলে নির্বাচন কমিশন চাইলে তাদের পক্ষে আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়াও সম্ভব।

টিএস/ এফসি