ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বানচাল করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসী হামলা করেছে করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। 

রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে  দলের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যলায়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এমন অভিযোগ করেন। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নুর তাপসের পক্ষে  নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতিকালে ৩৯নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন তিনি। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হবে। 

আমু অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতিকালে বিএনপির প্রার্থী তার নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদেরকে কর্মীদের ওপর এ হামলা করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, ওই এলাকায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা সিডিউল ছিলো না। ওখানে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার প্রেক্ষিতে এমন ঘটনা ঘটেছে এটা সঠিক নয়। তাই শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার ভাবে বলেছে।

আমু বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য নয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য অংশগ্রহণ করুক সেটা আমরা চাই। আপনারা লক্ষ্য করেছেন বিগত দিনে বিএনপির হয় নির্বাচন বয়কট অথবা নির্বাচন বানচাল করার জন্য পেট্রোল বোমা সবই ভিন্ন রকম কাজ করেছে। আজকে তাদের একটা অংশ নতুনভাবে আবার শুরু করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই হামলা তাদের সুপরিকল্পিত। এটা নির্বাচন বানচালের একটি ইঙ্গিত। বারবার এসব কথা তারা বলে আসছিলো আজকে তারা শুরু করলো। একদিন আগেও কয়েকটা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে তখন আমরা ভেবেছিলাম স্থানীয়ভাবে এটা ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। সেখানে আমাদের নেতারা আহত হয়েছেন। এই হামলায় কয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । 

নির্বাচন কমিশন বিধান মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে এই ঘটনায় যারা সত্যিকারের দায়ী তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের যে বিধি-বিধান আছে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা যেন সুস্থভাবে থাকে। যাতে করে ভোটারা সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক হতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক  বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক  সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের  সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান লিখিল প্রমুখ।

এএইচএস/বিএস