• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:৫৪ পিএম

জয়ের বিকল্প ভাবছে না আ.লীগ  ভোটাধিকার রক্ষার নির্বাচনে বিএনপি 

জয়ের বিকল্প ভাবছে না আ.লীগ  ভোটাধিকার রক্ষার নির্বাচনে বিএনপি 

ঢাকা-১০ আসনসহ আসন্ন ৫টি উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জয়ের বিকল্প ভাবছে না আওয়ামী লীগ। দলটির হাইকমান্ড মনে করে নির্বাচনে জয় দলকে শক্তি থেকে আরও শক্তিশালী করে। নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে রাজনীতির মাঠের প্রধান বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করে রাখার একটি বড় কৌশল হিসেবেও দেখছে আওয়ামী লীগ। এরইমধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছে দলীয় মনোনয়নয়ন ফরমও বিক্রি শুরু করছে ক্ষমতাসীন দলটি। অপরদিকে নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রাজনীতির মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির হাইকমান্ডও ঘোষণা করেছে উপনির্বাচনসহ সকল স্থানীয় সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। যদিও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যমান কোনো জোর প্রস্তুতি নেই দলটির। তবে বিএনপি বলছে, উপনির্বাচনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচনে যাচ্ছে দলকে সুসংগঠিত করা ও জনগণের হারানো ভোটাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে। 

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিএনপি বলে আসছিল, বর্তমান সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এ সরকার ও ইসির অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না দলটি। সর্বশেষ, ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, সন্ত্রাসী কায়দায় কেন্দ্র দখল, ভোট চুরি ও ভোটার এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ইভিএমে কারচুপিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। এমনকী নতুন নির্বাচন দাবি করে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও পূর্ণদিবস হরতালও পালন করে বিএনপি। 

সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে এলেও জাতীয় সংসদের শূন্য পাঁচটি আসনের উপনির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেকোনো নির্বাচনই বিএনপি বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।

প্রতিটি নির্বাচনে পরাজয় ও বেশুমার অভিযোগের পরও বিএনপি কেন ভোটে থাকতে অবিচল, তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। প্রশ্ন বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় থাকা এ রাজনৈতিক দলটিতে কেন এ স্ববিরোধিতা? এর ব্যাখ্যা হিসেবে দলটির নেতাদের কেউ বলছেন, জেতার কোনো সুযোগ নেই জেনেও আমরা নির্বাচনে থাকব আন্দোলনের অংশ হিসেবে।

এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন যেমন প্রয়োজন তেমনি রাজনৈতিক দলের জন্য ভোটে জয় খুবই প্রয়োজন। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল যে কোনো রাজনৈতিক দলকে বাঁচাতে প্রধান ধাপই হচ্ছে নির্বাচন।

৫টি উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে অংশগ্রহণকে বিএনপি ভোটাধিকার রক্ষার নির্বাচন হিসেবে দাবি করছে। বিএনপির এ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দৈনিক জাগরণকে বলেন, দলটির (বিএনপি) নেতারা যাই ব্যাখ্যা দিক না কেন মূলত দল বাঁচাতেই নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। 

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ দৈনিক জাগরণকে বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষকে দুর্বল রাখার বড় কৌশল হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভ করা। তিনি বলেন, বিএনপি যেন সুসংগঠিত হতে না পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই গেল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মাঠে নেমেছিল। জয়ও পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এই ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে আসন্ন উপনির্বাচনসহ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও জয়ী হতে চায় আওয়ামী লীগ।    
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিএনপির এ সভায় আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের কাজীর দেউরির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমরা চসিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা মনে করি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে না। আমরা মনে করি জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো যাবে। আমরা উপনির্বাচনসহ সকল স্থানীয় নির্বাচনে যাব। এই সময়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া।

দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র ও কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে গেলে আর যা-ই হোক, নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা যায়। নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে স্বাচ্ছন্দ্য পান। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও চালানো যায়। স্থানীয় নির্বাচনে না গেলে দলের কোনো না কোনো নেতা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়ে যান। দলের বড় একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেটা হয়েছে বিগত উপজেলা নির্বাচনের সময়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুসারে, আগামী ২১ মার্চ গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ ও ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিন আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৩ ফেব্রুয়ারি, আপিল দায়ের ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহার ১৯ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ, ভোট ২১ মার্চ। অপরদিকে ইসি সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে ১৬ ফেব্রুয়ারি। সেক্ষেত্রে ৩১ মার্চ চসিক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসির সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করলেও অন্য দুই সংসদীয় আসনে পুরনো পদ্ধতি, তথা ব্যালটে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শূন্য ঘোষিত বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচনের তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে। এছাড়া, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ঢাকার মতো চট্টগ্রাম সিটিতেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট হবে।

ঢাকার উপ-নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর আলোচনায় যারা
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবেদন ফরম বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এ পর্যন্ত ২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ক্ষমতাসীন এ দলটির। কিনেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ভাসানটেক আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেজর (অব.) ইয়াদ আলী ফকির। তবে গুঞ্জন আছে রাজধানীর অভিজাত এ সংসদীয় আসনটিতে শেখ পরিবারের কোনো সদস্যই মনোনয়ন পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল থেকে। সেক্ষেত্রে এই আসনটি ছেড়ে দিয়ে সদ্য ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে বিজয়ী শেখ ফজলে নুর তাপসের স্ত্রী আফরিন তাপস, তাপসের ভাই যুবলীগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নাম আলোচিত হচ্ছে। অবশ্য আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এ আসনসহ অন্যান্য উপনির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত হতে পারে।

অপরদিকে, ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ঢাকা-১০ উপনির্বাচনের অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে নানা হিসাব কষছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়ায় এরইমধ্যে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর অভিজাত এলাকার এ আসনটিতে বিএনপি তার ২০ দলীয় জোট শরিক একটি দলের বিশ্বস্ত নেতাকে দিতে পারে। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিএনপির অন্যতম মিত্র জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও এ আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। 

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান। তবে, এবার এই আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নে পরিবর্তন হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক সূত্র জানায়, আবদুল মান্নান বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত। তিনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। তাই উপনির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হবে না। অথবা তিনি নিজেও প্রার্থী হতে চান না।

জানা গেছে, ঢাকা-১০ আসন উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আবদুল মান্নানের মেয়ের জামাই ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধানমণ্ডি থানা বিএনপির সভাপতি শেখ রবিউল আলম। এর মধ্যে শেখ রবিউল একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নও পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে তিনি গ্রেফতার হওয়ার তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার অসীম দলের একটি অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ব কোন্দলে এক কর্মী খুনের ঘটনায় দীর্ঘদিন দেশ ছেড়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। শ্রমিক দলের এক নেতাকে হত্যার পেছনে তাকে দায়ী করে মামলাও রয়েছে। তবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ব্যারিস্টার অসীমের সম্পর্ক খুবই ভাল। 

অন্যদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদাও এই সংসদীয় এলাকার (ধানমণ্ডি) স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল হুদা ছিলেন দেশের প্রবীণ একজন জাতীয়বাদী ঘরানার রাজনীতিক ও আইনজীবী। তারও ছিল ব্যাপক পরিচিতি। আর ২০ দলীয় জোট শরিক হিসেবে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ হুদাও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি আছে। জোট শরিক হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখার কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও তার প্রতি খুশি বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে সৈয়দ এহসানুল হুদাও ধানের শীষের প্রার্থী হলে বিস্ময়ের কিছু নেই। 

উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা দৈনিক জাগরণকে বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে দেশবাসী মনে করে না। তারপরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট উপনির্বাচনে অংশ নিলে আমি প্রার্থী হতে পারি। জোট প্রধান বিএনপি আমাকে প্রার্থী দিলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতিও আমার রয়েছে। 

টিএস/ এফসি