• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৪:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৪:২৮ পিএম

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বিএনপি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বিএনপি
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের - ছবি : জাগরণ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে অংশগ্রহণ করবে কি না- সেটি তাদের ব্যাপার।’ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জাতীয় কমিটি’র সঙ্গে দলের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।   

দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ইতিহাসের মহাবীর, মহানায়ক। বঙ্গবন্ধু কোনো পার্টির নয়, গোটা বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের নেতা। তাকে আমরা দলীয়করণ করতে চাই না। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কাজেই দল-মত নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে, সকলের জন্যই মুজিব বর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত। এখানে কোনো সংকীর্ণতার সুযোগ নেই।

এই অনুষ্ঠানের বিএনপিও দাওয়াত পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমরা আমাদের জাতীয় সম্মেলনেও দাওয়াত দিয়েছি। আপনারা জানেন, মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা, সেখানেও কিন্তু বিএনপি আমন্ত্রিত ছিল। কেন তারা উপস্থিত থাকেনি... মুজিব বর্ষে তারা অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা তাদের আমন্ত্রণ করবো। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সম্পৃক্ত করতে চাই না। এটা আমরা খুব খোলাখুলি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই।

এর আগে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য জাতীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুষ্ঠানগুলোর সমন্বয় করা যায় তা নিয়ে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে জন্ম শতবার্ষিকীর জাতীয়ভাবে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।  

বছরব্যাপী সুশৃঙ্খল ও স্বতস্ফূর্তভাবে ‘মুজিববর্ষ’ আয়োজন করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সমন্বয়টা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় কমিটির প্রোগ্রাম এবং আমাদের দলীয় এজেন্ডাগুলো কীভাবে সমন্বয় করব এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে উদ্বোধনী দিনে যে কর্মসূচি রয়েছে দেশি-বিদেশি ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে- এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যেটা প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত হবে।

মুজিববর্ষে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাফল্য, অর্জনকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, আমাদের সাফল্য, আমাদের উন্নয়ন, অর্জন ফোকাস করা হবে। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ হবে ব্র্যান্ড। বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে আমরা ফোকাসে আনব। সেই বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত সংগ্রাম, আন্দোলন, ইতিহাস, সাফল্য, উন্নয়ন, অর্জন- সবকিছুই এখানে আসবে। সবকিছুই ফোকাসে আসবে। সেটি সারা দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার এটা একটা মুখ্য সময়, মাহেন্দ্রক্ষণ। এই সময়টিকে আমরা কাজে লাগাতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থে আমাদের ইতিহাস-ঐত্যিহ্যকে সমুন্নত রেখে মহান জাতির পিতার পুস্পিত আদর্শের পতাকাতে শেখ হাসিনার যে উন্নয়নের মহাসড়ক, এই মহাসড়ক ধরে আমারা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে এগিয়ে যাব। এটা জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উদযাপনের স্পিরিট, আমাদের থিম, আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আমাদের আদর্শ।

দলীয়ভাবে কীভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে সেই বিষয়ে শিগগিরই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এএইচএস / এফসি