• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০১:১৯ পিএম

দেশে এখন ত্রাসের রাজত্ব চলছে : মির্জা ফখরুল

দেশে এখন ত্রাসের রাজত্ব চলছে : মির্জা ফখরুল
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : জাগরণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে কুক্ষিগত করার জন্য গুমের আশ্রয় নিয়েছে। যা অতীতে আমরা বাংলাদেশে কখনও দেখিনি। তারা গুম করছে, হত্যা করছে, গ্রেফতার করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এইভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন দমননীতির মধ্যে দিয়ে তারা বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যস্থা স্থায়ী করতে চায়। দেশে এখন ত্রাসের রাজত্ব চলছে। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা আজ পত্রিকায় দেখেছেন একজন সেনাবাহিনীর অফিসার যিনি র‌্যাবে কাজ করতেন। অন্যায়ভাবে তাকে সাজা দেয়া হয়েছিল। সেই সাজা থেকে বের হয়ে আসার পরে তাকে গুম করে নিয়ে যাওয়া হয়। দেড় বছর পরে তিনি ফিরে এসেছেন, কিন্তু কথা বলছেন না। কিছুদিন আগে আমরা দেখেছি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে ৭ মাস পরে ফিরে এসেছে, কথা বলে না। তারও আগে একজন রাষ্ট্রদূত ৯ মাস অজ্ঞাত স্থানে ছিলেন, ফিরে এসে কথা বলছেন না। এখনও একজন জেনারেল গুম আছেন। মীর কাসেম আলীর ছেলেও গুম আছেন। 

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের যে সংবিধান সেই সংবিধান অনুযায়ী জামিন তার প্রাপ্য-হক-অধিকার। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ ধরনের মামলায় সবাই জামিনে আছেন। নাজমুল হুদা জামিনে আছেন, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিনে আছেন। মহিউদ্দিন খান আলমগীর জামিনে আছেন। সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী আব্দুল মান্নান জামিনে আছেন। 

ফখরুল বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানি রয়েছে। আমরা আশা করব, প্রত্যাশা করব যে, বিচার বিভাগ তারা তাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন। সত্যিকার অর্থে মামলার যে রায় হওয়া উচিত সেই রায় দেবেন। তাকে আটকে রাখার কোনো বিধান নেই। তাকে আপনারা বেআইনিভাবে আটকে রেখেছেন। 

সরকার দেশ চালাতে পারে না- উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের কথায় মনে হয় দেশে উন্নয়নের নহর বয়ে যাচ্ছে। অথচ আজকে পত্রিকা খুললেই দেখবেন, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ দ্রব্যমূল্যে হয়রান হয়ে গেছে। চাল-লবণ-সবজির দাম বাড়ছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমন একটা নিত্যপণ্য নেই যার দাম বাড়ছে না। অন্যদিকে শ্রমিক ভাইদের বেতন, প্রকৃত আয় বাড়ছে না। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, মার্চ মাসের মধ্যে ধস নামতে শুরু করবে। এই সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা দেশ চালাতে চায় রাষ্ট্রকে কব্জায় নিয়ে। 

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, আবুল খায়ের খাজা, মো. রফিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মফিদুল ইসলাম মোহন প্রমুখ।

টিএস/ এফসি