• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:২৩ পিএম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার পুনর্বিচার : ফখরুল

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার পুনর্বিচার : ফখরুল
বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি - ছবি : জাগরণ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পিলখানা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিচারের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের একাদশবার্ষিকীতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছে, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। এই ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী থেকে ওই সময়ে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল তার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। আমরাও মনে করি, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতা যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেব।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনী সদর দফতরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের বিদ্রোহ। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হয়।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আজকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র নেই্। খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতারা স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

এসময়ে কল্যাণ পার্টির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শাহজাহান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কোহিনুর হোসেন নূর, শামীমুর রহমান শামীমুর, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

টিএস/ এফসি