ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত সরকার কর্তৃক পাসকৃত বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর পক্ষ ও বিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল তা এরই মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সহিংসতায় নিহত ও আহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক বাড়ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে, নিহত ও আহতদের মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভারতীয়রাই আছেন।’
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাসের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া, এই উপমহাদেশ তথা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। এই মর্মে এর আগে সে উদ্বেগ জানিয়ে একবার বিবৃতি দেয়া হয়েছিল। যে বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছিল, ‘‘বহুত্ববাদ এর আদর্শ থেকে যে কোনও বিচ্যুতি সকল ধর্মের মানুষের সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথে একটি অনিবার্য বাধা। চলমান দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তা আবার সুষ্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ করলো।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বরাবরই উদ্যমী। ভারতের প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি তাই সবসময়ই ভারত রাষ্ট্র ও জনগণের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ কামনা করে।’
ভারতের বর্তমান নির্বাচিত সরকার তার দেশের সংবিধানের অন্তর্নিহিত চেতনানুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই চলমান সঙ্কটের সমাধান করবে। এ অঞ্চলের বৃহৎ দেশ হিসেবে এ অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারত সরকার যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করেছে বিবৃতিতে।
টিএস/এসএমএম