• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২০, ১০:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২০, ১০:০২ পিএম

খালেদার ‍‍‘মৃত্যু সংবাদ‍’ জানালেন রিজভী!

খালেদার ‍‍‘মৃত্যু সংবাদ‍’ জানালেন রিজভী!

সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মাঝে সরকারের সুপারিশে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কারান্তরীণ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির খবর যখন দেশজুড়ে আলোচনায়, ঠিক সেই সময় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর 'মুখ ফস্কে' বের হলো খালেদার 'মৃত্যুর সংবাদ'।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, দুইটি শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি প্রদানে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশনামা আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে দ্রুতই খালেদা মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘোষণা দেয়ার পর নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ ফসকে খালেদার মুক্তির সংবাদ বলে ‘মৃত্যুর সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন দলটির আলোচিত সিনিয়র নেতা রুহুল কবীর রিজভী। তবে পরক্ষণেই নিজের ভুল শুধরে 'মুক্তির সংবাদে' ফিরে আসেন তিনি। , মুক্তির সংবাদ।

এসময় রিজভী আরও বলেন, বিএনপির যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তাদের এবং দেশবাসীকে আমরা শান্ত থাকতে বলব। এই মহাদুর্যোগের মধ্যে মানুষের যাতে কোনো ধরণের কোনো অসুবিধা না হয়, তারা যাতে কোনো ধরণের কষ্টের মধ্যে না থাকে, সেই বিষয়টা তারা দেখবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষকে বলবো, দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন, করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেতাকর্মী, দলের নেতাকর্মী, দেশবাসী তাদের প্রিয়নেত্রীর এই মৃত্যুর সংবাদে... এই মুক্তির সংবাদে (শুধরে নিয়ে) সংযত থাকবেন। এবং যে মহামারী বিস্তার লাভ করেছে সেখান থেকে যাতে বিস্তার লাভ না করে, এটা যাতে দ্রুত অপসারিত হয় সে ব্যাপারে তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

এর আগে, শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, বিদেশে গমন না করার শর্তে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি চাইলে হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে তাকে ঢাকার নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেরিত সুপারিশ গ্রাহ্য করলেই এ আদেশ কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন।

এসকে