১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করবেন পূত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান। পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কাছে পেয়ে তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই শক্তিশালী বোধ করছেন বলে জানালেন বিএনপি নেতারা।
দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় পর বাড়ি ফিরেছেন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী। তাকে বাসাতেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছোট বোন সেলিমা ইসলাম।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘উনার তো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কথা বলতে পারছেন না, উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। হাঁটতে পারছেননা, বসে থাকতেও বেশিক্ষণ পারছেন না, গায়ে হাত দিলেই ব্যথা লাগছে তার। খাওয়া-দাওয়াও করতে পারছেন না, খেলেই বমি হয়ে যাচ্ছে। মুভ করানোর মতো অবস্থা নাই। তারও মতামত বাসতেই থাকবেন।’’
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন পুত্রবধূ ড. জোবায়দা রহমান। চিকিৎসা করছে দলের গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, অন্য যেসব চিকিৎসকরা আগে তাকে দেখতেন, তাদেরকে দিয়েই এই বোর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মার্চ) প্রায় দু’ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে আগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরার্মশ দেয় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
পরিবার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দেখার পর মানসিকভাবে অনেকটাই চাঙা হয়ে উঠেছেন বলে জানালেন বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ।
তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে যে সমস্ত প্যারামিটার থাকে সেগুলো দেখার জন্য উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আছেন, নার্স আছে। তারাই উনাকে দেখাশোনা করবেন। বিএসএমএমইউ-তে যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল সেগুলোই কিছুটা মডিফাই করে ঠিক করা হয়েছে। বাকিটা একই আছে। মানসিকভাবে পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে হয়তো কিছুটা ভাল আছেন, শারীরিকভাবে কিন্তু তিনি সত্যিই খুব খারাপ অবস্থায় আছেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় ২ বছরের বেশি সময় সাজাভোগের পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এসএমএম