• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২০, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০২০, ০৯:০১ পিএম

কাস্তে হাতে কৃষকের পাশে ৩ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী

কাস্তে হাতে কৃষকের পাশে ৩ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী
ধান কেটে দিচ্ছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ● জাগরণ

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়ায় মাঠে পাকা ধান নিয়ে তারা পড়েছেন আরও দুশ্চিন্তায়। স্থানীয় শ্রমিকরা ধান কাটা শুরু করলেও সংখ্যায় কম হওয়ায় তাদের চাহিদা অনেক বেশি। চড়া মূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে শ্রম। এলাকার শ্রমিকদের পাশাপাশি বোরো মওসুমের শুরু ও শেষে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা শ্রমিকদের দিয়েই পূরণ হয় চাহিদা। এবার করোনা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে সব চিত্র। ওই সব এলাকা থেকে শ্রমিকরা আসতে না পারায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত কৃষকরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তুলতে এবার কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলার ৩ শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবসহ বিপুলাসার, ঝলম, পোমগাঁও, মির্জাপুর, সরসপুর, লক্ষণপুর, নাথেরপেটুয়া, মৈশাতুয়া, দিশাবন্দসহ বেশকিছু জায়গায় উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে কৃষকের ধান কেটে দিতে দেখা গেছে।

উপজেলার বড় কেশতলা গ্রামের কৃষক আবদুর রহিম, শাফায়েত হোসেন, সালাউদ্দিন, মফিজুর রহমান, আবুল বাশারসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সঙ্কটে যখন মাঠের পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না তখন একদল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীকে মাঠে ধান কাটতে দেখে সেখানে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তমাল মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি দলীয় কর্মীদের সহায়তায় ধান কাটার ব্যবস্থা করে দেন। প্রায় ৩০০ শতক জমির ধান কাটতে পেরে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কৃষকরা। 

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতিতে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ, শ্রমিক সঙ্কটে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে। 

উপজেলার বিপুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদুর রহমান দুলাল জানান, করোনা পরিস্থিতি ও শ্রমিক সঙ্কটে মানবিক কারণে গরিব ও অসহায় কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর্থিক সঙ্কট বিবেচনায় বর্গা চাষিদের ধান কেটে দেয়ার বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত জসিম উদ্দিনের ৪২ শতক ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে মাড়িয়ে দেয়ার কথাও জানান তিনি।  

শ্রমিক সঙ্কট নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা দৈনিক জাগরণকে বলেন, কৃষকের ধান কাটার সুবিধার্থে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এসএমএম
 

আরও পড়ুন