- ঢাকা
- বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্কট সমাধানে বিরোধীদলসমূহ নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিএনপি সার্কাসের হাতির মতো সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হচ্ছে। তারা সঙ্কটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
বুধবার (৩ জুন) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দেশের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত এলাকাকে কয়েকটি জোনে বিভক্ত করার কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। জনগণের ঘনত্ব, সংক্রমণের মাত্রা, রোগীর সংখ্যা, পাশ্ববর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেস্ট ফ্যাসিলিটি, চিকিৎসা সুবিধাসহ নানা বিষয় এর সাথে জড়িত।
ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার এ সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিচ্ছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের পাশে আছে সব সময়। ক্রমঅবনতিশীল এ পরিস্থিতিতে সরকার সংক্রমিত এলাকা এবং এর নানাদিক বিবেচনায় নিয়ে এলাকাভিত্তিক বা জোনে বিভক্ত করার বিষয়টি ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে কাজ করছেন। কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছেন।
বিস্তারিত পরিকল্পনা পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাই করে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, বেশিরভাগ গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। প্রথম দু’দিনে এটা আমরা লক্ষ্য করেছি। তবে বেশকিছু অভিযোগও আমরা পাচ্ছি। আমি প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করছি।
যাত্রীদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি যাত্রীদের নিজেদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, না হয় টার্মিনাল এবং বাসযাত্রা হতে পারে সংক্রমণ বিস্তারের আরেকটি কেন্দ্র।
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সবাইকে ‘সচেতনতার প্রাচীর’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, না হলে জনস্বার্থে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার আরও কড়াকড়ি আরোপ তথা কঠোর হতে বাধ্য হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে শৈথিল্য প্রদর্শন করছে, যা সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবহেলা নিজের জন্যই শুধু নয়, পরিবার, সমাজ তথা অন্যদের জন্যও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এসএমএম
