• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০১:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০১:৫৬ পিএম

‘পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল কূটনীতিক শেখ হাসিনা’

‘পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল কূটনীতিক শেখ হাসিনা’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এ দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের (ডিপ্লোমেটিক) নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৫ বছরে সফল রাজনীতিবীদের নাম শেখ হাসিনা।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে বাঙালির জাতীয় জীবনের এক স্মরণীয় দিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙ্গালির আস্থার সোনালী দিগন্ত, প্রেরণার দীপ্যমান শিখা, স্বপ্নময় অর্জনের কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।’

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরকারি বাসভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময় দাবি করে তিনি বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, থাকবে বঙ্গোপসাগরের কোলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা কর্ণফুলীর পলি বিধৌত ব-দ্বীপ বাংলা। বঙ্গবন্ধু কন্যা আছেন বলেই দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে সীমান্ত সমস্যার, বিনিময় হয়েছে যুগ যুগ ধরে ঝুলে থাকা ছিটমহল। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশের সমান সুনীল সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। দ্বার খুলেছেন সম্ভাবনাময় ব্লু ইকোনমিক।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা এক আজন্ম উন্নয়ন যোদ্ধার অপর নাম, স্বপ্নবান নেতৃত্ব।  হতাশ ও অসহায় প্রাণে যিনি সঞ্চার করেন জীবনের জয়গান, বপন করেন স্বপ্নের বীজ। শেখ হাসিনা বাঙ্গালির সাহসের সোনালী দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন, বাড়িয়ে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বসভায় নতুন উচ্চতায়।

‘দেশে নৈরাজ্য চলছে’ – বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগে তিনি বলেন, দেশে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারি মোকাবিলা করে ভালোভাবে চলছে, তাই বিএনপির এতো গাত্রদাহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ইতিহাসের মহানায়ক আর জেনারেল জিয়া ইতিহাসের ফুটনোট মাত্র, এটাই চির সত্য। এদেশে ইতিহাস বিকৃতির জনক জিয়াউর রহমান।

মিথ্যাচার আর ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি দিন দিন জনপ্রত্যাশা থেকে ছিটকে পড়ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কর্মীরা এখন আর নেতাদের বিশ্বাস করে না। টেমস নদীর পাড়ে বসে যারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বিপ্লবের ঢেউ তোলার দিবাস্বপ্ন দেখছেন, সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নেরই নামান্তর।

বিএনপিকে ২০০১ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তখন বিএনপি দেশে এক নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছিল।’ আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদ। সেসময় সংখ্যালঘুদের উপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল বিএনপি তা একাত্তরকে ও হার মানিয়েছিল।’

জাগরণ/এমএইচ

আরও পড়ুন