• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২১, ১২:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৫, ২০২১, ১২:৪৩ এএম

নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে নানা রকম তর্ক-বিতর্ক

নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে নানা রকম তর্ক-বিতর্ক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুদিন আগে বলেছেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের সুযোগ নেই, আর আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ।

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থা নেই জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আর নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

বর্তমান সংবিধান অনুসারে ক্ষমতাসীন সরকারের সময়েই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

দেশের নির্বাচনের একমাত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আছে আর মাত্র চার মাস। এ সময়ের মধ্যেই নতুন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কে বা কারা আসবেন নতুন কমিশনে তা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।

ঠিক কীভাবে কমিশন গঠন হবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও গত পাঁচ দশকে কোনও সরকারই সে পথে হাঁটেনি। সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি অতীতের মতো এবারও সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

 

রাষ্ট্রপতি নির্দেশিত সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিগত দুই কমিশন গঠন করা হয়। এর আগে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি এবারও উদ্যোগ নেবেন বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশন যতই ভালো লোক বা নিরপেক্ষ লোক দিয়ে গঠন হোক না কেন, নির্বাচন করতে গিয়ে সরকারের পরিপূর্ণ সহযোগিতা না পেলে তাদের করার তেমন কিছু থাকে না। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশন গঠনে শত আইন করেও লাভ হবে না বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। আর রাষ্ট্রপতির এই ‘সার্চ কমিটি’ গঠন ধোঁকাবাজির শামিল বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।

জনগণের উৎসব অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোট ভিত্তিক যে গণতন্ত্রের ধারা ৯০ এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার পরিবেশ নিয়ে পরিষ্কার নানা অভিযোগ ও ব্যাখ্যা প্রচলিত।

অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও একটি সংকটময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।

করোনাক্লান্ত দেশ নতুন করে কোনও সঙ্কট সামাল দিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। আমাদের আশাবাদ, সবদলের মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবিধানকে সমুন্নত রেখে সবধরণের নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক করা দরকার। যে জনগণের জন্য এই দেশ এই সংবিধান, সেখানে যেনো জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।

জাগরণ/এমএ