• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২১, ১২:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২১, ১২:১৮ এএম

কুমিল্লার ঘটনায় আ. লীগের মদদ রয়েছে, দাবি ফখরুলের

কুমিল্লার ঘটনায় আ. লীগের মদদ রয়েছে, দাবি ফখরুলের
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ● জাগরণ

মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম ।।

কুমিল্লার ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের বাহিনী মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বাদ জুমা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমাদের সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে, তাদের ক্ষমতা টিকে রাখার জন্য সবসময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি করছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঝে-মধ্যে সরকারের সংকটগুলোকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকালকেও এই বিষয়ে আমরা বিবৃৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহিৃত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

তিনি বর্তমানে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। তিনি খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বকর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, নূরুল আমিন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, বেলায়েত হোসেন, আওয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন, কাজী সালাহ উদ্দিন,আবু আহমদ হাসনাত, জাকের হোসেন, দক্ষিণ জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেন, নূরুল কবির, লায়ন হেলাল উদ্দিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, মোহাম্মদ সেকান্দর, মোহাম্মদ আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন,  জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদুল হাসান, নূর হোসেন, বাদশা মিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, শরিফ উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, এইচ এম রাশেদ খান, নূরুল হক, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফ উদ্দিন তুহিন সহ আরও অনেকে।

জাগরণ/এমএ/এমএ