• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২১, ১১:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২১, ১১:২৪ এএম

ঘরের শত্রু নিয়েই বেশি চিন্তিত বিএনপি

ঘরের শত্রু নিয়েই বেশি চিন্তিত বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আন্দোলন করতে চাইছে বিএনপি। যদিও বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, আন্দোলন শুরু হলে দলটি ভেঙে যাবে। আবার আন্দোলনে সফল না হলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে কি-না, সে নিয়েও রয়েছে সংশয়। 

এ রকম প্রেক্ষাপটে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এক ধরনের আতঙ্কে ভুগছে। সেটি হলো দল ভাঙার আতঙ্ক।
 
যদিও বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন যে, বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একান্তে আলাপ করে দেখা গেছে, কোনো প্রতিপক্ষ নয় বরং ঘরের শত্রু নিয়েই বেশি চিন্তিত বিএনপি।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপির নেতাদের অন্তর্কোন্দল ঠেকানো যাবে। যদি নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলনে যায় তখন তারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে পারবে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে।

অনেক নেতা মনে করছেন, এ মুহূর্তে বিএনপির আন্দোলনে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এক্ষেত্রে তারা একাধিক সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। আন্দোলন শুরু হলেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের অযোগ্য ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনদের নেতাদের সরে যাওয়ার দাবি উঠবে। এটি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এক ধরনের আতঙ্কে আছেন।

আন্দোলন শুরু হলে বিএনপির মধ্যে যে নানা মত-পথের মানুষ আছেন, তারা আলাদা আলাদা অবস্থান নেবেন। ফলে বিএনপির ভাঙন ত্বরান্বিত হতে পারে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। সেই মামলার জটে পড়া দলের নেতারা নতুন করে সংকটে পড়তে পারেন।

এছাড়া বিএনপি মনে করছে, আন্দোলন করে যদি তারা পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে যায় এবং সেই আন্দোলন যদি সফল না হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপির ভবিষ্যৎ আরো অন্ধকারে চলে যাবে। বিএনপির আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ থাকবে না। 

বিএনপির নেতারা বলেন, বিএনপির মধ্যে দল ভাঙার আতঙ্ক সব সময় বিরাজ করছে। আন্দোলনে গেলে রেষারেষির জেরে দল ভাঙতে পারে, আবার আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় থাকলে বিদ্রোহী নেতারা দল ভাঙার চক্রান্তে জড়াতে পারেন। এ ধরনের উভয় সংকট থেকে বের হতে কর্মপন্থা চূড়ান্তের চেষ্টাতেই আটকে আছে বিএনপি।

জাগরণ/এমইউ