• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১, ১০:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৪:৪১ এএম

খালেদা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত : মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত : মেডিক্যাল বোর্ড
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ● ফাইল ফটো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত ৭টায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানোনো হয়।

চিকিৎসকরা জানান, লিভার সিরোসিসের কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে খালেদা জিয়ার। একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেয়া গেছে। তবে দ্বিতীয়বার সামাল দেয়া কঠিন হবে।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ভারতীয় উপমহাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিতে এই চিকিৎসা সম্ভব।

অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর  নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার ব্রিফিং প্রদান করেন। এসময় অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসীন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা জানান, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার লিভারে স্বাভাবিক রক্ত পরিচলন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ও খালেদা জিয়ার লিভারে পরিপাকীয় চাপ কমাতে বাইপাস প্রক্রিয়া সঞ্চালন নালী তৈরী করতে হবে। এটি টিপস পদ্ধতিতে করা হয়, এ প্রযুক্তি শুধু যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রেই সম্ভব। দ্রুত এই সঞ্চালন নালী করা না গেলে বেগম জিয়ার লিভারে রক্তক্ষরণ ঝুঁকি এক সপ্তাহে ৫০ ভাগ বাড়বে, পরবর্তী ৬ সপ্তাহে সেই ঝুঁকি বাড়বে ৭০ শতাংশ।

চিকিৎসকরা জানান, এখনও হয়তো খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিদেশে নেয়া সম্ভব কিন্তু আর দেরি হলে হয়তো তাকে আর স্থানান্তর করাই সম্ভব হবে না।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা আরও জানান, লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে শুধু দেশের না উপমহাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। এর চেয়ে বেশি কিছু আর করার নাই। 

জানা যায়, হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন খালেদা জিয়া। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার রক্তবমি শুরু হয়। পরে তাকে লাইভ সেভিং ফ্লুইড ও রক্ত দেয়া হয়, দেয়া হয় দুই ব্যাগ প্লাজমা। এসব চিকিৎসায় প্রাথমিক ভাবে রক্ত বন্ধ করা হয়। 

জাগরণ/এমএ