• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ০২:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২১, ০৮:১৫ এএম

আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা চায় জাসদ

আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা চায় জাসদ
সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইন চেয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। এই আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভূমিকা চেয়ে দলটি বলেছে, পাঁচ বছর পর পর যেন ইসি গঠন করতে গিয়ে বিব্রত হতে না হয়, সে কারণেই তারা এই আইন চায়।

আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকাও প্রত্যাশা করছে তারা।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপকালে জাসদ নেতারা একইসঙ্গে অনুসন্ধান কমিটির (সার্চ কমিটি) মাধ্যমে ইসি গঠনকে তুলনামূলকভাবে ভালো উদ্যোগ বলে মত দিয়েছেন।

সাংবিধানিক বিভিন্ন সংস্থায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়ে জাসদের পক্ষ থেকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে মহাহিসাব নিরীক্ষক (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিসহ কয়েকজনের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিনে বুধবার ১৪ দলের শরিক জাসদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল এই সংলাপে অংশ নেন। জাসদ প্রতিনিধি দলটি বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছায়। বিকেল ৪টা থেকে প্রায় সোয়া ঘণ্টার সংলাপকালে নির্বাচন কমিশন গঠনে দলের একটি লিখিত প্রস্তাবও রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

সংলাপে অংশ নেয়ার পর বঙ্গভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার বিষয় অবহিত করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ইসি গঠনে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদেই আইন প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে পাঁচ বছর পর পর একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে যেন স্থায়ী একটি সমাধান পাওয়া যায়- তার জন্য জাসদ রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করছে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ভবিষ্যতে আইনি কাঠামো করতে রাষ্ট্রপতি যেন সরকারকে দিক-নির্দেশনা দেন, সে কথাও সংলাপে বলেছেন তারা।

আইন প্রণয়নের দায়িত্ব সংসদের- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইনু বলেন, আইন সংসদকেই করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক। সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সরকারই করবে, সংসই করবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি যেন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে সরকারকে পরামর্শ দেন, তারা সেটিই বলেছেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এ বিষয়ে সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সেই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ এলেই বিব্রত হতে হয়। সব মহলকে বিব্রত হওয়ার হাত থেকে রেহাই দেয়ার জন্যই তারা রাষ্ট্রপতির দিক-নির্দেশনা চেয়েছেন।

হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেয়া জাসদের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারেফ হোসেন, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার ও রেজাউল করিম তানসেন।

জাগরণ/এসএসকে