• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০১:১৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০১:১৭ এএম

‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে সেজন্য সতর্ক থাকুন’

‘দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে সেজন্য সতর্ক থাকুন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোন দলকে ভোটদানের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন কেউ যেন আগামীতে ক্ষমতায় না আসে সেজন্য সতর্ক থাকুন।

তিনি ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবের কথা উল্লেখ করে সবাইকে এই ব্যাপারে পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়ের পর যে দলটির প্রধান বলেছিলেন, যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল তত লোক মারা যায় নাই।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার ঐরকম কেউ যেন ক্ষমতায় না আসে যে, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই বলে দায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় কেউ যেন না দেয় ভবিষ্যতে, সেজন্যও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৯১ সালে খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন দেশে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হল। সেই ঘূর্ণিঝড়ের পর সংসদে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই। আমি তখন তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আর কত মানুষ মারা গেলে আপনার মনে হবে যে তত মানুষ মারা গেছে?

তিনি বলেন, ৯১ -এর ওই দুর্যোগে শুধু তৎকালীন বিএনপি সরকারের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। দেশের মানুষ যে মরছে সেদিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিল না। অথচ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু এবং ঘর-বাড়ি, গবাদি-পশু, ক্ষেতের ফসল এমনকি চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং বিমান বাহিনীর বিমান পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দলে থাকলেও সে সময় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায়। পরবর্তীতে সরকারে এসে সেই ঘূর্ণি দুর্গতদের জন্য খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনসহ সেই সময় কুতুবদিয়া থেকে ছোট্ট একটি ছেলেকে ঢাকায় এনে পুনর্বাসন করার একটি ঘটনাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

মাতা-পিতাসহ সর্বস্ব হারানো সেই ছেলেটিকে ট্রমা সেন্টার থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন এবং এক সময় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে চাকরি দেন। পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর পর ছেলেটি আনোয়ারায় তার ভাইয়ের পরিবারের সন্ধান পায়।

জাগরণ/রাজনীতি/এসএসকে