• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১২:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০২২, ১২:০৩ এএম

‘হুন্ডা-গুণ্ডা দিয়ে নয়, নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে’

‘হুন্ডা-গুণ্ডা দিয়ে নয়, নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে’
সংগৃহীত ছবি

বিএনপিকে রাজপথে মোকাবেলার পাশাপাশি নির্বাচনে পরাজিত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, কয়েকটা সমাবেশ করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। 

বিএনপির মতো ‘হুন্ডা-গুণ্ডা’ দিয়ে নয়,  বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা এ কথা বলেন। 

দুই যুগ পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে উদ্দীপ্ত নেতাকর্মীরা। তাই সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ওসমানি পৌর স্টেডিয়ামে জড়ো হন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

দুপুর তিনটায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অনেক আগেই ভরে ওঠে সম্মেলন স্থল। একই মঞ্চে বসেন শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী। 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেন, আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু না। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমাদের পরিবারকে স্মরণ করেছেন, এরপর আর চাওয়ার বাকি নাই। 

মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির বিকল্প নাই। নারায়ণগঞ্জেও আমরা তাই চাই। খুন, গুম ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করে দিয়ে, সাধারণ মানুষের রাজনীতি চাই।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিএনপি জনগণের রায়ের বদলে ক্ষমতায় যেতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। 

সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছু মিডিয়া বিএনপির সমাবেশ দেখে বেহুশ হয়ে পড়েছে। তারা ভাবছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে। 

যাতে ক্ষমতায় গিয়ে আগের মতো লুটপাট আর দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে বলেও অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। 

তারা আবারও জানান, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন আর কোন দিনই পূরণ হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে আর ভোটও হবে নিরপেক্ষ। 

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার বদল চাইলে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন ভুলে যান। এ লাখ লাখ লোক নিয়েই খেলা হবে। ডিসেম্বরে বিজয়ের মাস। জনতার বিজয়ের জয়ধ্বনি শুনতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, খেলা হবে, কী খেলা হবে? ভোট চুরি ও ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

নারায়ণগঞ্জের পর অন্য সম্মেলনগুলোতেও একই রকম বড় জমায়েত করে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠেই জবাব দিতে চায় ক্ষমতাসীনরা।

এর আগে ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন অধ্যাপক নাজমা রহমানকে সভাপতি ও শামীম ওসমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।

জাগরণ/রাজনীতি/আওয়ামীলীগ/কেএপি